আমিতো চেয়েছিলাম-
এলোমেলো বাতাসে আলুথালু মনে ঝাউবনে হাঁটবো
সমূদ্রের ঢেউভাঙ্গা কোলাহল অট্টহাসি দিয়ে ছাপিয়ে যাবো,
বালুর শয্যায় মাথা রেখে আকাশে দেখবো পাখীদের সাঁতার
ঢেউয়ের মাথায় চড়ে ফেনার ফুল নিয়ে ফিরবো তোমার পাশে।
সমূদ্রকে রক্তাক্ত করে তেজ হারানো লাল কুসুম সুর্য্যটা
যখন আঁধারের তৃষ্ণায় কাতর হয়ে দিগন্তে হারাবে-
তখন নুড়ি ঢালা পথটা ধরে ফিরবো পাশাপাশি হাত ধরে
আমাদের স্বপ্নের সাজানো নিরিবিলি ছোট্ট কুটীরে।


তুমি হয়তো চেয়েছিলে-
সোনায় মোড়ানো তোমায় দেখে ঈর্ষায় জ্বলুক নাগরিক চোখ
তোমার রূপের অনলে আনমনে পুড়ে যাক হতবাক পতঙ্গকূল।
পার্টিতে পার্টিতে মুখে স্তুতির ফেনা তুলে হয়রান হোক ফ্ল্যাটারারগন
শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাতাসেই নিয়ন্ত্রিত হোক শরীর, মনের উত্তাপ।


তাই ছেড়ে এলে প্রকৃতির সেই বাসর
ফেলে এলে ঝাউবন, সমূদ্র, শামুক -ঝিনুকের আসর।


আমিও ফিরেছিলাম একা এই নগরে একদিন-
তুমি নেই তাই-
ইটের পাঁজরে দীর্ঘশ্বাস প্রতিধ্বনি হয়ে ফেরে বার বার
কার্নিশের কোনঘেষা টুকরো আকাশ আমায় উঁকি দিয়ে দেখে।


খালি হাতে ফিরিনি আমি-
সমূদ্রের নোনাজল আমি দু’চোখ ভরে এনেছিলাম
এনেছিলাম বুক ভরে হাহকারী দিকভ্রান্ত উতাল হাওয়া।