আমাজন ---
গভীর জঙ্গলে --গুরু গম্ভীর ঢাকের আওয়াজ শোনা গেল
ডুম ডুম --ডুম ডুম -- বাতাসে ভাসছে অজানা আশংকা
জঙ্গলের মানুষখেকো জংলীদের আস্তানা আজ সরগরম --
কিছুক্ষণ পর -- মহা আনন্দের নরভোজ অনুষ্ঠান শুরু হবে ।
...........................................................................।।
বন্দী শ্বেতাঙ্গ বৈমানিক অবাক হয়ে দেখছেন নরশিকারীদের কিম্ভূত নাচ
পরাশক্তিধর দেশের বোমারু বৈমানিক আজ ভাগ্যের হাতে ধরাশায়ী।
অত্যাধুনিক জঙ্গিবিমান বিধ্বস্ত হবার আগে বেল আউট হয়ে
এই অজানা অচেনা নীবিড় জঙ্গলে এসে পড়েছেন তিনি
গাছের ডালে ঝুলছে প্যারাস্যুট - নীচে পড়ে গিয়ে ভেঙ্গেছে পা ।
তারপর ব্যাথায় অজ্ঞান --জ্ঞান ফিরতেই এই বন্দীদশা ।


মৃত্যু সামনে এসে গেলে তড়িৎ মানুষের মনে শুরু হয় ফ্ল্যাশ-ব্যাক
নয়তো আকস্মিক শকে প্রচন্ড স্থির হয়ে যায় মস্তিষ্ক এবং
গভীর দর্শনবোধ নির্লিপ্ততায় জেগে ওঠে --
বৈমানিক ভাবছিলেন জন্ম-মৃত্যু নিয়ে - ভাবছিলেন মানুষের বৈচিত্র নিয়ে
যেন শুধু ভেবে চলার জন্যে তার আছে অফুরন্ত সময় -
অথচ সামনের বৃহদাকার ভয়ংকর-দর্শন পাত্রে পানি ফুটে উঠলো বলে ।


তিনি ভাবছেন --
‘এই নরমাংসলোভীরা তো শুধু  দেহটা খায়
আর আমরা যে যে দেশে মানুষ মারি নির্বিচারে -- স্বার্থে , অকারণে--
সে দেশের সব শুষে নেই ,ধ্বংস করি বাকী যদি কিছু থাকে  
আর সবশেষে এমন মানবিক বিভেদের মাইন পুতে চলে আসি
যা ফাটতেই থাকবে নিরবিচ্ছিন্ন, বছর বছর ধরে ---
সেই বিচারে এরা তো আমাদের চেয়ে ঢের ভালো ।’


অকস্মাৎ , বৈমানিকের মনে উদয় হলো অদ্ভূত এক আশংকার ---
“ আচ্ছা , এরা আমার মাংস খেয়ে , আবার আমাদের মতোই
জটিল কুটিল নরশিকারী দানব হয়ে উঠবে না তো ? ”