আহা, কতোদিন তোমার দেখা নেই
তুমি যাবার পরে শরৎ এলো তুলো মেঘের আকাশ আর
কাশফুলের শুভ্রতা ছড়ানো মাঠ নিয়ে
হেমন্ত এলো মাঠে ফসলের গন্ধ নিয়ে
শীতের শুষ্কতায় তোমাকে বড় মনে পড়ে
কুয়াশার চাদরে ঢাকা চারপাশ, মাটিতে শিশিরের কান্না
এতো ব্যাতিক্রমী জলজ আয়োজনেও আমি তোমাকেই খুঁজেছি কতো
পরে বসন্তের গানে মেতে উঠেছিলো প্রকৃতি
উচ্ছল ফুলেদের কানে বাতাস কইছিলো কথা
পাখীদের সুরেলা কনসার্টে  ভেঙ্গে পড়ছিলো নিস্তব্ধ দুপুর
তারপর আগুন ঝরাতে এলো গ্রীষ্ম – তোমাকে দেখার
আগ্রহ আমার আরো তীব্র হলো—
কাঠফাটা রোদ্দুরে আমি আকাশের পানে চেয়ে
মিনতি করেছি বারবার তোমাকে ফিরিয়ে দেবার
হয়তো সময় হয়নি বলে ভ্রুক্ষেপ করেনি আকাশ
কি হয় বলো নিয়ম ভেঙ্গে আগেই চলে এলে ?
তৃষিত আত্মা আমার তোমার দর্শনে পরিতৃপ্ত হতে চায়
মেঘেদের লড়াই বেঁধে গেলে, বজ্রের ধমক খেয়ে
আকাশ যখন কাঁদবে—
তখনই আসবে তুমি শান্তির পরশ নিয়ে-
ওহে ঝিরি ঝিরি নিরবধি ঝরা বারিধারা
আমি তোমার অপেক্ষায় তৃষিত চাতকের সাথী
চুপচাপ বিলে তুমি টুপ্টাপ ছন্দে গাইবে গান
পদ্মপাতার বুকে গড়াবে আনন্দে হেসে
কভুপাতায় নাচবে রূপোলী মুক্তো হয়ে
তোমার পরশে সদ্য স্নাত সবুজ বনানী, ফসলের মাঠ
দুলবে উজ্জ্বল সৌন্দর্য্য নিয়ে—
আর আমি ---
কংক্রিট ছাদের শাসন ভুলে, ছাতার সামিয়ানা থেকে
ছিটকে এসে বুক মেলাবো তোমার সাথে—
আমার ঝাঁঝরা জীবনের রন্ধ্রগুলো তুমি ভরিয়ে দেবে
পবিত্র শান্তির জল দিয়ে
ওহে ঝিরিঝিরি ইলশেগুঁড়ি আমার সুখের পদ্মকুড়ি
তুমি এসো
এসো না তুমি নিয়ম ভেঙ্গেই নাহয়
আমি চোখ বন্ধ করে দেখব তোমায়
অনুভবের স্পর্শে তুমি অম্লান হবে –
ঝরবে মনে নিরবধি ঝিরি ঝিরি ঝিরি।