দুর্ভাগ্যকে দুর্মুখেরা যতোই গালিগালাজ করুক
আসলে তার অনেকটাই যে নির্বুদ্ধিতা প্রসূত
জেনে না জানার ভান করি আমরা--
প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে প্রবাহিত জিন মানচিত্রে অংকিত
অভিজ্ঞতার সুপ্ত বীজ সময়ে সময়ে হয় অঙ্কুরিত,
আমাদের খেয়াল নামের অদ্ভুত দেয়ালের আড়ালে
তা ঢেকে থাকে –
আমাদের চলতি জীবনের শিক্ষাও জীবনেরই কোলাহলে
অশ্রুত –উপেক্ষিত, তাই দুর্ভাগ্য রাজত্ব করে মলিন মনে ।
ভাগ্য – সে তো আছেই নাটকীয় পরিবর্তনের নটরাজ হয়ে
যদিও ভাগ্য অনেকটাই রচিত হয় শ্রমের বুননে
সত্যিকার দুর্ভাগ্যের কীট  কখনো বা তা কুটে কুটে তিতকুটে স্বাদ আনে জীবনে।
কিছু দুর্ভাগ্যের অমাবস্যা তো থাকবেই ভাগ্যের পূর্ণিমাকে আরো
উজ্জ্বল মোহনীয় করে তোলার জন্যে—
এই তো জীবন সাদা আর কালোর এক দাবা ছক যেন
চালের পরে চাল
সব চালই কি সঠিক হয় ? খেলার মজাই তো ভুলে
তবুও বলতে হয়, ভুলের পরে ভুল হতেই যদি থাকে
টেনে আনে তা দুর্ভাগ্যকেই
তবে কি এ কথা সত্যি নয় –
নির্বুদ্ধিতাই অধিকাংশ দুর্ভাগ্যের নির্মাতা ?