নিজেকে ছড়িয়ে ফেলেছিলাম আমি অজান্তে
এত ডালপালা ছড়িয়ে গেছে চারপাশে যে
শেকড় পারছে না আর রসদ যোগাতে ঠিক মতো
তাই বিবর্ণ পত্র-রাজি বুঝিয়ে দিচ্ছে তাদের অসম্পূর্ণতা ।
চিন্তার জালও কি মহা-বিস্তারে শীর্ণ পলকা সুতো ?
দৃঢ়  রজ্জুর মতো সুস্থ-চিন্তার বাঁধন আছে তো মনকে ঘিরে?
মনে হচ্ছে চেনা গণ্ডিটা পেড়িয়ে অনেকটা অচেনা ভুল পথে
মিছেই ঘুরেছি আমি হন্যে হয়ে, এবার ফিরতে হবে
ফিরতে হবে নিজের ভেতর—
একেবারে শূন্য হাতে তো ফেরা নয় , আছে অন্তত অভিজ্ঞতার সঞ্চয়।
মনের অন্দর মহলে কি ধূলো জমেছে, এ অবসরে ?
ঝাড় –পোঁছ করে নিয়ে সাজাতে হবে
তাকে তাকে অভিজ্ঞতার শো-পিস –
অন্তর্মুখী যাত্রায় এবার লক্ষ্য করে দেখছি
অনেক পদচিহ্ন ভুল পথে ঘোরাঘুরি করেছে—
ভাবছি ভুল বড় মন্দ কিছু তো নয়
ভুল নামের ফুলটির পাপড়ি ঝরে ঝরেই তো
এক সময় সঠিকের আরাধ্য ফলটি পাওয়া যায়।
তারপর শুদ্ধতার বীজ থেকেই জীবনের বনে হয়
আরেকটি অঙ্কুরোদ্গম – নতুন বৃক্ষ –শাখার বিস্তার –
আবার অশুদ্ধ পরগাছার আগ্রাসন---
সেই সাথে শুরু হয় শুদ্ধতার বলিষ্ঠতায় টিকে থাকার সংগ্রাম।
গাছ গাছালিতে ভরা মনোভূমিতে হেঁটে  হেঁটে
ফিরছি আমি  মনের ঘরে—
একেবারেই নিজের ভেতরে ।