রুদ্ধ দ্বারে তন্ত্র মন্ত্রে মগ্ন সাধক
বহু সময় ব্যয় করে , বহু শারীরিক কষ্ট সয়ে
বহু আকাঙ্ক্ষার মৃত্যু ঘটিয়ে, সংসারকে বঞ্চিত করে
নিমগ্ন সে গুপ্ত সাধনায়--
উদ্দেশ্য তার মানুষের উপকার করা নয়
মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করা, দখল নেয়া তাদের মনের
আশা তার, বাধ্য হবে মানুষ তার,হবে তাবেদার।
শ্মশ্মান খুঁড়ে ,কবর ফুঁড়ে সে অবমাননা করে মৃতের
ধনে মানে বড় হতে চায় সে ---
কিন্তু দেখিনা তো কোথাও ধনী কোন তান্ত্রিক
বেশভূষায় মানায় না তাকে বুঝি ধনশালীর চরিত্রে।
কি লাভ এই নষ্ট  সাধনায় ?
ভীতিকর পরিবেশের আবেশে সে চমকে দেয় সবাইকে
ভালোবাসা পায় না সে আসলে কারো ,কেড়ে নিতে চায় শুধু।
যায় না , যায় না এভাবে দখল করা মানুষকে
স্রস্টার বড় আদরের সৃষ্টি যে সে --
অশরীরীর শক্তি কব্জা করে মানুষকে ভোগায় সে
জানে না কি সে ,মানুষই সৃষ্টির সেরা ?


অন্ধকার আর ধোঁয়ার পর্দা ভেদ করে
পবিত্র সূর্যালোক যখন ছুঁয়ে যায় মানুষকে
মুখোশ খসে যায় তখন পিশাচের
অশূচী দূরীভূত হয়, শুভ্র শুদ্ধতা হাসে,
ক্ষমতা লুপ্ত গুপ্ত সাধক শয়তানের কাছে খোঁজে আশ্রয়।


তাই, জীবনে বড় সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে
উদ্দেশ্যের শুদ্ধতা যাচাই করা উচিত মানুষের ।