এখন শুধু ছবিটা আছে
মানুষটা আর নেই --
ছবির ওপর ফুলের মালা ঝুলছে
পত্রিকাতেও ছাপা হয়েছে বিস্তর না না বয়েসের ছবি,
আর স্মরণের কথামালায় মানুষটাকে
চেনা যাচ্ছে আরো কতো অচেনা সুন্দর রূপে ।
এমন মানুষটির সান্নিধ্যে কেন কাটানো হলো না
নিদেন একটি প্রহর --মনে বড় আফসোস সবার,
আরও কতো অজানাকে জানাবার ইচ্ছে ছিলো তাঁর
কে জানবে তা ?
মৃত্যু হাত বাড়িয়ে তাঁকে তুলে নেবার আগে
দিনগুলো তাঁর বড় একলা কেটেছে --
নিজেকে ভাবছিলেন বিস্মৃত এক অধ্যায় হিসেবে।
বয়েসের ভারে ন্যুজ শরীরে ঋজু এক সত্ত্বা জাগ্রত ছিলো তাঁর,
এক জীবনের অর্জন বহু জীবনের কল্যাণে
বিলিয়ে দিতে উন্মুখ ছিলেন তিনি।
তাঁর নামটির পিছনে ছুটেছে সবাই
তাঁর কাছে আর যায় নি তারা--
প্রকাশিতের ভিড়ে চাপা পড়ে রইল তাঁর
অপ্রকাশিত পাণ্ডুলিপি ।
অর্জনের কোলাহল স্তিমিত হয়ে যখন
নির্জন উপেক্ষার নিস্তব্ধ প্রহর এলো ,
তিনি মিশ্র অনুভূতির অচেনা আবহে নিমজ্জিত হলেন।


সমাজকে যারা অক্লান্ত প্রচেষ্টায় কিছু দিয়ে যায়
জীবদ্দশায় তাদের স্বাচ্ছন্দের জন্যে কিছু করা
সমাজেরই দায় --
এ দান নয় --এ বিনম্র শ্রদ্ধায় মেশানো প্রতিদান ।