অতীব শক্তিশালী স্পেস টেলিস্কোপে দেখা যাচ্ছে
হাজার আলোকবর্ষ দূরের এক পৃথিবী-সদৃশ গ্রহ,
দেখতে পাচ্ছি তার বাষ্পীয় আকাশ-পর্বত চূড়ো
অবাক বিস্ময়ে দেখছি জলরাশির অস্তিত্বও।
এই কি তবে প্যারালাল ওয়ার্ল্ড ?
সেই পৃথিবীর ‘আমরা’ কে কোথায় ?
সেই গ্রহের’আমি’ কি এই আমারই সম-বয়েসী
নাকি অনেক বছর আগে এসে চলে গেছে সে
নয়তো আসেইনি এখনো জন্ম নিয়ে সে এখনও ?
ভাবছি, চেহারাতেই শুধু মিল তার আমার সাথে
নাকি স্বভাব ,ভাবনাও তার একই ধারার ?
তার বলা ভাষাও কি বাংলাই ?
বলতে চাই তাকে--
“ যদি কবিই হয়ে থাকো তুমি নতুন পাওয়া পৃথিবীর
হে ‘অদেখা আমি’ , তবে লিখেই ফেলোনা তুমি
আমায় নিয়ে দু’এক ছত্র কবিতা --
আর --
ধ্বংস কোরো না তোমরাও আমাদের মতো অবিবেচক হয়ে
জলবায়ু , পরিবেশ।
নয়তো আরও শক্তিশালী টেলিস্কোপেও কোনোদিন খুঁজে
পাওয়া যাবে না তবে--
নিষ্প্রাণ শতকোটি গ্রহের ভীড়ে
আর কোন সবুজ ঢেকে রাখা নীল-সাদা প্রাণ -সঞ্চারী গ্রহ।”
()()()()()()()()()()()()()()()()()()()()()()()()()()()()  


(মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসার একদল জ্যোতির্বিদ দাবি করেছেন , পৃথিবীর মতো আরেকটি গ্রহের খোঁজ মিলেছে ,ঘুরছে সে নিজ নক্ষত্রকে কেন্দ্র করে। নাসার এই বিজ্ঞানীদের পাওয়া আমাদের সৌর-জগতের বাইরে নতুন চিহ্নিত ওই গ্রহটির নাম ‘ফোরফিফটিটুবি’ । এটি আমাদের পৃথিবীর চেয়ে ৬০ শতাংশ বেশি বড়। আকৃতি আর অন্যান্য বৈশিষ্ট্য যাচাই করে মনে হচ্ছে ওই গ্রহে পাথর, আগ্নেয়গিরি, মহাসাগর, ও ‘সূর্যালোক’ থাকতে পারে। তবে সেখানে মাধ্যাকর্ষণ পৃথিবীর দ্বিগুণ আর বছর হয় ৩৮৫ দিনে। গ্রহটির অবস্থান ১ হাজার ৪০০ আলোকবর্ষ দূরে সিগনাস নক্ষত্র-মন্ডলে। এটি যে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করছে তা আমাদের সূর্যের সমান হলেও বেশি পুরানো। এটির বয়স প্রায় ৬০০ কোটি বছর আর আমাদের সূর্যের বয়স প্রায় ৪৫০ কোটি বছর। নাসার কেপলার স্পেস টেলিস্কোপের সাহায্যে এই পৃথিবী-সদৃশ গ্রহটি শনাক্ত করা হয়েছে। --খবর রয়টার্স, এএফফপি,বিবিসি।)