বিকেল তিন টা বিশ মিনিট!
আজও কান পেতে শুনি তার কন্ঠ!
আঠারো মিনিট তিন সেকেন্ডের অগ্নিকণ্ঠ!
আমার পূর্বপুরুষের বুকের মাঝে যে আগুন;
সেদিন দাউদাউ করে জ্বলে উঠেছিল!
তোমার কণ্ঠধ্বনি শুনে আজও জ্বলে উঠে সে আগুন!
হে বাঙালি জাতির পিতা!
তোমার দীপ্ত কন্ঠের সেই বিদ্রোহাচরণ;
সর্বস্বহারা মানুষের মাঝে দেখি!
তোমার আগুন চোখ;
খুন হয়ে যাওয়া স্বজাতির মাঝে দেখি!
সেদিন রেসকোর্স ময়দানের উপর যখন হেলিকপ্টার চক্কর দিচ্ছিলো;
লাখো জনতা পা থেকে জুতা খুলে উপরে দেখাচ্ছিল!
ঘৃনার আগুনে জ্বলে পুড়ে যখন স্বজাতি খাটি সোনায় পরিণত;
ঠিক তখনি তুমি শোনালে শিখল ভাঙার গান!
মুক্তির মিছিল থেকে শিকল ভাঙার গান রুপান্তরিত করে গেয়ে উঠলে তুমি স্বাধীনতার গান!
হে স্বাধীনতার কোকিল!
তোমার গানেই খুঁজে পাই স্বাধীনতাকে!
যে মুক্তির গান শিখিয়েছিলে পূর্বপুরুষকে;
যে স্বাধীনতার গান শিখিয়েছিলে স্বজাতিকে!
তোমার সুরেই তো আজও সেই গান গাই!
কে বলে তুমি হারিয়ে গেছো?
কারা বলে তুমি নেই?
আজও বিকেল তিন টা বিশ মিনিট!
সেই আঠারো মিনিট তিন সেকেন্ডের অগ্নিকন্ঠের উত্তরাধিকারী; আমিই সেই!


/আঠারো মিনিট তিন সেকেন্ড
সরকার পল্লব
৭ই মার্চ ২০১৮, ঢাকা।