যে নারীর স্তন্যে হায়েনার নখের আছড়
লেগেছিল;
তার বিনিময়ে এ স্বাধীনতা!
জড়ায়ু ফেটে যে রক্ত উরু বেয়ে পড়েছিল এ
মাটিতে;
সে রক্তে কেনা এ স্বাধীনতা!
যে ঘৃনার চুম্বন নারীর ঠোটে লেগেছিল;
সে চুম্বনের বিনিময়ে এ স্বাধীনতা!
যে অনাগত সন্তান ঘাতকের বুটের আঘাতে,
মায়ের সাথে পেটের মধ্যে শহীদ হয়েছিল;
যে রমনী তার অনাগত সন্তানের নাম রেখেছিল
বিজয়, বুলেটের আঘাতে ঝাঝড়া যে রমণীর
গর্ভ আর তার স্বপ্ন বিজয়;
সে রমণী আর বিজয়ের রক্তান্ত মৃত্যুর
বিনিময়ে এ স্বাধীনতা!
যে শিক্ষককে রাতের আধারে ডেকে নিয়ে
গিয়েছিল, সকালের রোদে যার সাদা
পাঞ্জাবীতে লাল টুকটকে রক্ত লেগেছিল, সে
পাঞ্জাবীর বিনিময়ে এ স্বাধীনতা!
সুরা ফাতিহা পাঠ করতে না পারায় একুশ বছরের মুসলিম
বালক আব্দুল রাহমান গুলি খেয়ে মারা গিয়েছিল!
লা ইলাহা ইল্লাহ বলেও নিপেন্দ্র বাবু ছাড়া পেয়েও
খত্নার জন্য যে গুলি খেয়ে বুকের রক্ত এ
জমিনে ঢেলে দিয়েছিল,
সে আব্দুল আর নিপেনের রক্তে কেনা এ
স্বাধীনতা!
কৈলাশ, হিরনবালা, সুধীনের বাড়ী, কিশোর
মুক্তিযোদ্ধা রফিকের বাড়ি, মসজিদ, মন্দির,
প্যাগোদা দাউ দাউ করে জ্বলে যে ছাই পড়েছিল;
সে ছাই'য়ের বিনিময়ে এ স্বাধীনতা!
তবু আজো তো দেখি...
নাম জানা নারীর স্তনে হায়েনার আছড় পড়ে!
জরায়ু ফেটে রক্ত ঝড়ে, ঘৃনার চুম্বনে ঠোট
কেপে উঠে!
সুধীন, হিরনবালাদের বাড়ী-ঘর পোড়ে,
আব্দুলরা ধর্মের নামে মরে, রমনীর গর্ভে
সন্তান মরে, শিক্ষকের বুকের রক্ত জমিনে
পড়ে!
তবে আজো কেন এমন ব্যকুলতা!
হায় স্বাধীনতা! হায় স্বাধীনতা!!
আমার ভিতরেই, সেই বিদ্রোহী আত্না!
আমিও বলতে চাই তার মত করে;
সেই আগুন ঝরা বজ্র কন্ঠ সুরে---
এবারের সংগ্রাম... মুক্তির সংগ্রাম!
এবাবের সংগ্রাম... স্বাধীনতার সংগ্রাম!!


/সরকার পল্লব
৭ মার্চ, ২০১৭