তারপরও...
ছুটে চলা অবিরাম অবিরত!
ধুসর প্রান্তর পেড়িয়ে এসে থমকে দাঁড়াই;
গোধুলির শেষ চিহ্ন ভেদ করে স্থির সূর্যদেব!
অস্তগামী হতে গিয়েও
উকি দেয় মেঘের আড়াল থেকে;
পশ্চিম কোণঘেঁষা কমলা রাঙা সূর্যটা
বিদায়ী শেষকথা বলে গেল!
সন্ধ্যাদীপ জ্বলে উঠল ঘরে ঘরে।
বোহেমিয়ান হয়ে ছুটেছিল যে;
সে আজ সন্ধ্যার আলিঙ্গনে মিশে যায় আধারে!


সেদিন...
পথ ভুলে যাওয়া যে পথিক এসেছিল পথের ধারে;
বিকেলের ধুলোমাখা পথ পেড়িয়ে এসে
দাঁড়িয়েছিল কৃষ্ণচূড়ার নিচে।
তখনো ফুল ফোটেনি;
একটা শালিক উড়ে এসে ভয়হীন ভাবে
শুকনো ডালে বসে;
ভেঙে পড়ার ভয় পেলে কি দাঁড়ানো যায়?
শালিক চোখ বিমূর্ত তাকিয়ে রয় পথিকের চোখে।


আজ...
বসন্ত দিনে
ফুলের সমাহার দেখে কোকিলের গান করতে ইচ্ছে করে!
ঝরাপাতা কেউ কি মাটি থেকে বুকে টেনে নেয়!
কেউ জানে না তার ঝরে যাওয়ার নীল ব্যথা!


হয়ত একদিন...
সব ভুলে
পথের শেষ থেকে আবার শুরু হবে পথ চলা।
আধারে মিশে যাওয়া সেই পথিক
আধারেই পথ চিনে নিবে।


তারপর একদিন...
রাতের আধারেই পথ খুঁজে পেতে একটা রোগাটে চাঁদ আলো দিয়ে যায়!
সেই রোগা আলোয় পথ চলা শুরু।
চলতে চলতেই চোখে দেখা দিবে পোয়াতি চাঁদ!
নয়দিনের পোয়াতি চাঁদ;
যেন নয় মাসের পোয়াতি চাঁদ!
আলোর প্রসব বেদনায়
আকাশের জড়ায়ু ফেটে বেড়িয়ে আসে ঝলমলা চাঁদ!
সেই পোয়াতি চাঁদের ঝলমলা আলোয়
পথের শেষ গন্তব্যে একদিন ঠিক পৌছবে পথিক!


আর সেদিন...
যারা রোগাটে চাঁদ দেখে মৃদু হেসেছিল ফিক করে!
পথ খুঁজে না পাবার উপহাস ভরে!
সেদিন দেখবে তারা;
পথিক ও সেই রোগাটে পোয়াতি চাঁদের
ঝলমলানো সাফল্যের শেষ হাসি!


/পোয়াতি চাঁদ
সরকার পল্লব
৩১ ডিসেম্বর, ২০১৭