ভাঁট ফুল- বসন্তের মান হারা অতিথি এক
আপন খেয়ালে মেলে ধরে আপনার রূপ-
কবির উপমা-অলংকারে বঞ্চিত সে বরাবরই,
অনাদরে পথে ঘাটে পড়ে থাকা
অবগুণ্ঠন মুক্ত এই ক্ষুদ্রের ভাষা বোঝে না কেউ,
ব্যথা বোঝো না, সে যে তুচ্ছ, নগন্য
মানুষের বিলাসী চোখ কৃষ্ণচূড়া, শিমূল,
পলাশ ছেড়ে নেমে আসেনি তার বুকে।
মান হীন তাই ঠাঁই পায়না ফুলের তোড়ায়
অবজ্ঞা ছাড়া প্রাপ্তির ভাণ্ডার শূন্য তার ।
  


তবুও, তবুও সে আসে বসন্তকে স্বাগত জানাতে
যে টুকু তার সাধ্য, যেটুকু তার সুবাস
তা দিয়েই অঞ্জলি দেয় ঋতুরাজের চরণে;
মলিন পত্রের মধ্য থেকে তার শুভ্র কেশ-পুষ্পে
যেন বলে ওঠে, "আমি আছি আমি আছি.....
আমি আসি বন্দনা করতে তোমায়
সেই সৃষ্টির ভূমিকা থেকে-
বছরের পর বছর, শতাব্দীর চক্রে চক্রে-"
  


কালের পথ যাত্রায় দিবাকরের করের পরশে
সে বঞ্চিত নয় কোনো কালই
রুদ্ধ চোখে, ফুলদানিতে সে ঠাঁই না-ই বা পেল
হলোই বা সে নেই রাজ্যেই বাসিন্দা, তবুও ধন্য সে
সেও যে বসন্তের অঙ্গ, বসন্তের ভূষণ-
হোক না সে মান হারা ।