ধুম-মৌন এক পসলা সকালে
আমি বসে আছি নদীর মাঝে;
হাতের স্পর্শে ছিলো বৈঠা
জলের মাঝে পথের অবস্থান।


জলের চোখে....,
আকাশের উপরে আরও একটি আকাশের আলো-ছেয়া।
সাদা মেঘ নীল আকাশে ডানা ছাপিয়ে ছুটছে অচিন ঘরে;
তার মাঝে সাদা বকের আবির্ভাব।


হঠাৎ.....,
বালুময় জমিনে ফাগুন ধারা,
আঁকাশের দিকে তাঁকাতে দেখি;
নীড় পরায়ন পাখিদের পঙক্তিমালা।
আমার উৎসুক দৃষ্টির আওতায়,
জেগে উঠলো কত শেওলা ফুল;
জল পিপাসু মৎস্যরাজীদের ছোটাছুটি,
সূর্যের আলো ঢেউ আর মাছের গায়ে তারার ঝিলিমিলি।


মাঝিদের জল-বৃষ্টি আর রৌদ্রস্নাত জীবন,
প্রকৃতির দাবানলে পোড়া সোনালী গড়ন।
জেলেদের জীবনসংগ্রাম....প্রতি মুহূর্তে...;
প্রাকৃতিক মানচিত্রে কখনও বা মানুষের স্মৃতি...!
জীবনের গতি পথ অনেক ক্ষেত্রে...,
জলের প্রাচীর এবং জল তরঙ্গের চূড়ায়।


আমার বুকের মাঝে যে হৃদয় আছে,
তাকে নাড়া দিয়ে বললো ভালোবাসার কথা।
কি অপূর্ব জীবন-ধারা এদের,
নিজের অজান্তেই স্থান অন্তরিত হয়;
তবুও নদীর উপর এদের কোন খোব নাই!
জন্ম থেকেই বলে, চলা এদের জীবন;
কখনও কীট-পতঙ্গের মুখের অন্য হিসাবে।
অথবা....,
মানুষের ব্যবহারের প্রয়োজনে।
তবুও এদের কষ্টকে,
এরা ত্যাগের মাঝেই জীবন দিতে পারে।



[ সারথী, ❤️ লেখা- ০৬.০৫.২০০০]