দিনের উষ্ণ রদ্রুর মাঝে,
ভোরের আবেগী বাতাস বইছে,
ধান ক্ষেতের শোভা বুকে ধারন করে।
আমি,
থেমে গেছি শান্ত নদীর প্রান্তে এসে,
বসে আছি নদীর পাড়ে,
বট বৃক্ষ দেবীর তলে।
নদীর বুকে বহিছে নীরব ঢেউ;
কি..?
অপূর্ব মৌন সেই ঢেউ।
নদীর দু'কুল ছেপে ভাসছে,
হরেক শেওলাপনা।
আমার নিজস্বতা হারিয়েছে,
আজ, মায়াবতী নদীর মাঝে।


আজ।
সূর্য ভোরের আলো ছায়া থেকে জেগে উঠেছে,
আকাশের ঐ নীলিমার মাঝে,
সূর্যের প্রোলেপ পড়েছে।
নদীর নীরব ঢেউয়ের উপর,
আমার মনে হলো;
আজ!
দুপুর সাঁঝে নদীর উপর,
জ্বলে উঠেছে অজস্র জোনাকির আলো।
যেন ভালো বাসার মিলন বন্ধনে আবদ্ধ,
ঢেউ এর পরে ঢেউ,
একে অন্যকে আড়াল করেছে ভালোবাসার আবেগে।


রৌদ্রস্নান দুপুর,
তীর ঘেরা প্রতিবেশীদের পবিত্রতায় মত্ত।
জলডুব সাঁতার মাছ ধরাতে মাতওয়ারা,
কিশোরীর কলস ঢেউয়ের মাঝে আগ্লে রেখেছে নদী।
চাহিদা আর প্রয়োজন,
ভালোলাগা'কে সপে দিয়েছে নদীর কাছে।


নদীর কুলে পাতি-হাঁসের আসর জমেছে,
সাঁতার শেষে হাফ'ছাড়ছে নদীর তীরে এসে।
তারাও সময়ের মাঝে মিলন বন্ধনে আবদ্ধ,
বিলিয়ে দিচ্ছে নিজেদের শরীর,
শরীরের ঘ্রানে অপূর্ব তৃপ্তির বিষাদ চূড়ায়।
পরিশেষে সময়ের স্নানে মাতওয়ারা,
অঙ্গে পবিত্র পানির মিলন ঘটেছে,
সাঁতারের কৌতুকহলে ছুটে চলেছে
অনেকে নদীর মাঝ পথে।


নদীর পাড়ে কাঁশবনের মেলা,
গোধুলী বিকেল আর কাঁশবন আড়াল করেছে কিশোরী'কে;
অপেক্ষামান চোখ মেলে প্রিয়'কে খুঁজছে;
তার চোঁখে শান্ত ভালোবাসা।
হঠাৎ,
তার চোঁখে আমার চোঁখ পড়ে যায়,
কি...?
অপূর্ব অপেক্ষা বিরাজ করছে তার মায়াবী চোঁখে,
ভালোবাসার আবেগ জড়ানো কথিত কথা।
তার মাঝে আর অপেক্ষায় থাকতে চাইছে না,
সমাধী দিতে উদগ্রীব প্রিয়'র হৃদয়ে।


সন্ধা তাঁরা চাঁদের অপেক্ষায়,
জোৎনা আলো'ই স্নান করবে বলে
চাঁদের আলো আর মিদু বাতাস,
নদীর জলে সাঝিয়ে তুলছে জোনাকি মেলায়।
স্বপ্ন ভাষছে জলের মিরোরে।


আজ...!
আমার শুধু'ই মনে পড়ে।
সেই দিনের কাঙ্খিত কিছু কথা,
কথার কথা, তোমার কথা;
বানী'শূন্য কিছু অতিত'কে।


প্রকৃতি ও জীবনের গল্প কথা,
ভালোবাসার কোলাহলে মেতেছে;
আজ নদীর স্নানঘরে।
আজ আমিও
আমার ভালোবাসা,
সফে দিয়েছি নদীর মায়া'টানে।



[ সারথী, ❤️ লেখা-২৫.১১.১৯৯৯ ]