জীবনের স্নায়ুরেখা
বক্রতায় ভরপুর
সরলরেখায় চলার কথা ছিল
চলেনি
কথাগুলোও কথা হয়নি
ইচ্ছগুলোও অনিচ্ছার আদলে গড়া হয়নি


অখন্ড আকাশ, অনন্ত নীলিমায় খুঁজেছি
স্নায়ুর স্পর্শ;
পোড়ামাটির শিলাতে, রোদের তীব্র আলোয়
হেটে বেড়িয়েছি অনেক
অন্ধকারের গলিপথ আলোকিত হয়নি আজও


ঘুর্ণিতোলা মেঘের ভান্ডার খুলে দেখেছি
কুয়াশার আবরণ তখনো মোছেনি
অরক্ষিত পুষ্পমালায় অহেতুক
জীবনের গান তুলেছি
জীবনের স্নায়ুরেখা অতলস্পর্শী
তখনো জানা হয়নি
আমি এখন আর স্নায়ুরাখা ধরে হাটি না।


সমকালীন চিন্তার ভাজ খুলে
বেরিয়ে এলো, সহস্র গম্বুজ
আকাশ থেকে নেমে এলো তরবারীর ঝংকার
প্রকম্পিত হৃদয়, বিভ্রান্তির বেড়াজাল
অথচ স্নায়ুরেখা স্পর্শ করে না
আজও; তবুও জীবন চলে বক্রতার পথেই


সাধ ও সাধ্যের বিয়োজিত পার্থক্য জেনেও
মুক্তি চায় সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ
স্পর্শ চায়, স্নায়ু রেখার


অথচ; পরজীবি সভ্যতা গিলে খায় ক্রমাগত
অহেতুক;
কাল্পনিক চিন্তায় বিধ্বস্ত হয়, মলিন হয়
স্নায়ু রেখার স্বকীয়তা