আমার কাছে আড়াল বিদ্যার পারদর্শীতা খুব জরুরী মনে হয়। সামাজিক মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকতে হলে,”আড়াল বিদ্যা” একটি উত্তম গুন, অনেকেরই থাকে না, তারা ভালো মানুষ কিন্তু অসুখী। মুখোশ এবং আড়াল বিদ্যা দুটো ভিন্ন বিষয়, অনেকে সেটাও জানে না। তবে, মুখোশের চেয়ে আড়াল বিদ্যা উত্তম নিঃসন্দেহে, মন্দের ভালো যাকে বলে।


সারাদিন মুখোশ বিদ্যার অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে ক্লান্ত দেহ ও মনে ফিরে আসি প্রশান্তির প্রত্যাশায়; অথচ মুখোমুখি হতে হয় আড়াল বিদ্যার কাছে। আমি প্রকাশিত বিদ্যার প্রত্যাশী অথচ আড়াল বিদ্যার মুখোমুখি। সচেতন বিদ্যার কাছে আমি বরাবরই পরাজিত থাকি, কিছুটা সময় আশ্রয়ে থাকি অচেতন বিদ্যার। যোগ্যতার বিচারে আমি অযোগ্য হয়ে পড়ি এখানে ওখানে, অথচ অসচেতনার তমকা গায়ে জড়াতে পারি না। আমি নিজের জীবনেই উদ্বাস্তু হয় যাই।


পৃথিবীজুড়ে উদ্বাস্তুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে, ঘরে-বাইরে শুধু উদ্বাস্তু মানুষের ভীড়। ঘরহারা,উদ্ধাস্তু, শরনার্থী, সব মিলিয়ে মোট সংখ্যা কত হবে? আমার ধারনা মোট জনসংখ্যার চেয়ে কম হলেও মোট জীবনের চেয়ে বেশি হবে। পৃথিবীটা আসলে একটা মায়া রাজ্য, মায়ার বাধন ছিন্ন হলে সম্ভবত আর আড়ালবিদ্যার প্রয়োজন হতো না, অবশ্য তখনো মুখোশ বিদ্যা থাকতো।


অক্টোবর ১৮, ২০২৩ বিকেল ৫টা
মিরপুর, ঢাকা