আমি যেন এক প্রাচীন বৃক্ষ,
শিকড় ডুবে আছে সময়ের অতলে,
পাতায় জমে আছে স্বপ্নভাঙার ধূলা,
আর ডালে ঝুলে থাকা প্রশ্নের গুঞ্জন

নদীর প্রতিটি ঢেউ একেকটি সম্ভাবনা,
কিন্তু আমি স্থির, আমি নিশ্চুপ,
আমি জানি না
কোনটি আমার পিপাসার জল

আকাশ আমার মাথায় নীরব দর্শক,
নক্ষত্রেরা শুধু আলোকিত করে পথ,
কিন্তু দিকনির্দেশ দেয় না—

বিভ্রান্তি এক ধূসর কুয়াশা,
সে ঢেকে রাখে আমার অন্তর্দৃষ্টি,
আমি হাত বাড়াই
নিজের ভিতরের দিকে,

আমি ছুঁতে পারি না আত্মার স্বর

আমি একাই হাঁটি এক শূন্য রাজপথে,
যেখানে সময় নিজের ছায়া হয়ে পিছু নেয়,
আর মুহূর্তেরা মুখোশ পরে আসে,
আমাকে ভুলিয়ে দেয় আমারই প্রতিচ্ছবি

কখনো ভাবি—
এই একাকীত্বই কি তবে মুক্তি?

যেখানে সমস্ত শব্দ থেমে যায়,
আর নিঃশব্দে আত্মা কথা বলে আত্মার সাথেই,
যেখানে নিজেকে খুঁজে পাওয়াই একমাত্র দিগন্ত
এই বিভ্রান্তি, এই একাকীত্ব—
হয়তো শুদ্ধির আগুন, আত্মোপলব্ধির দরজা,
যেখানে পুড়ে যায় সকল ভ্রম,
আর জন্ম নেয় এক নতুন আমি

মে ১২, ২০২৫ রাত ১১টা
মিরপুর, ঢাকা