"আত্মসংলাপিক যুদ্ধ", সিরিজ
রাত্রি নেমে এলে খুলে যায় দরজা,
এক অদৃশ্য আদালত—
যেখানে আমি একা,
নীরবতার সাথে অবস্থান
এমন নীরবতা যা কখনো, কোথাও ছিল না
কেউ শোনেনি এমন নীবরতার কথা
নিরবতা কাঁপে না, প্রশ্ন করে না,
তবুও ভিতর থেকে গর্জে উঠে বারবার
সেই একই প্রশ্ন, যা আমি ভুলে যেতে চাই—
"কতবার নিজেকে ফাঁকিতে রেখেছিস?"
“কতবার ভুলের ফাঁদে পা দিয়েছিস?”
নীরব দেয়ালে টাঙানো পুরনো ভুলগুলো,
জরাজীর্ণ ক্যালেন্ডারের পাতায়
আজও ঘুমায় না—
তারা সাক্ষী, তারা দলিল, তারা ক্ষত।
আমি দাঁড়াই কাঠগড়ায়,
শুনতে পাই নিজের কণ্ঠেই অভিযোগ—
"তুই থেমে গেছিস যেখানে দাঁড়াতে হতো
জোড়ালোভাবে,
আর হাঁটছিস
যেখানে থেমে যাওয়া দরকার ছিল।
আত্মসমর্থন আসে না আজ,
কোনো যুক্তি মুখ খোলে না—
কারণ গহীনে জানি,
সত্যের চেয়ে কঠিন তো কিছু নেই।
নির্বাক ছায়া আমার পেছনে দাঁড়িয়ে,
তার চোখে কেবল এক অপমান—
যেন বলছে, "তুই তো আমাকেই হারিয়ে ফেলেছিস,
নিজেকে ভুলে বেঁচে থাকাটাই; সবচেয়ে বড় অন্যায়।"
আদালতে অশ্রু হয় না উপশম,
ক্ষমা হয় না স্বপ্রণোদিত—
শুধু জারি হয় আত্মোপলব্ধির রায়,
যেখানে সাজা হলো, “নিজেকে বোঝার দহন”।
আলো নিভে গেলে আদালতও ঘুমায়,
তবুও ঘুমায় না রায়টি,
ভোরবেলা উঠে দেখি—
আমার চোখে জেগে আছে এক শোকস্বাক্ষর আত্মজিজ্ঞাসা
মে ২০, ২০২৫ সকাল ৭টা
মিরপুর, ঢাকা