এক নিঃশব্দ জরায়ুতে ঘুমিয়ে ছিলাম আমি,
যেখানে শব্দগুলো ছিল-
ফেলে আসা দিনের স্মৃতিজড়িত কান্না,
একটি অলিখিত কবিতা,
একটি ছায়ার গর্ভধারণ।
নিঃশব্দতা ছিল উষ্ণ,
যেন এক দীর্ঘ শীতের পর
স্নায়ুরা ঘুম ভাঙিয়ে বলল-
“তুমি এখনও মরোনির্বাণ পাওনি,
তোমার ভিতরে একটি অচেনা তুমি কাঁদছে।”
আমি জেগে উঠি,
আধভাঙা আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে দেখি,
আমার চেহারায় একরাশ পাথর
যেখানে মুখ নেই, আছে কেবল স্তব্ধতা,
আর চোখের নিচে জমে থাকা এক বিপন্ন নদী।
আমি আমার নিজেরই ধাত্রী হই,
ভেতরের গ্লানি, হাহাকার আর অপূর্ণ প্রেম থেকে
একটি নতুন আমি প্রসব করি-
যে জানে, ভালো না থাকাও এক রকম জীবনচর্চা।
আমার চামড়ার নীচে একটি নতুন মানচিত্র,
যেখানে ফেলে আসা শহরের রাস্তা নেই,
নেই কোন হাসির ঘ্রাণ বা
তার ঠোঁটে জন্ম নেওয়া কোনও সকাল।
এই নতুন মানচিত্রে কেবল আমি আছি;
আর আমার নিজস্ব মৌনতা।
আমি প্রতিদিন
থেমে থাকা শব্দকে কুড়িয়ে কুড়িয়ে
একটি নতুন ভাষা তৈরি করি,
যার ব্যাকরণে প্রেম নেই,
আছে পুনর্জন্ম, আছে ক্ষতিকে উপাস্য মানার ধর্ম।
আজকাল
আমি আর কারো ফেসবুক খুলি না—
নিজেই নিজের ভেতরের স্ক্রলিং চালু রাখি,
যেখানে প্রতিটি পোস্টে লেখা-
“তুমি বেঁচে আছো, কারণ তুমি একা হতে শিখেছো।”
আমি এখন হাঁটি না, আমি গড়াই;
সময় নামক এক রুক্ষ ঢালে,
আর জানি, প্রত্যেক পতনের মধ্যে
একটি উত্থানের বীজ থাকে,
যেটা নিজেই নিজেকে জন্ম দেয়,
নিঃশব্দের জরায়ুতে।
জুন ৬, ২০২৫ বিকেল ৫টা
মিরপুর, ঢাকা