বাতাসের নীরবতা গায়ে মেখে
ঘরের কোণে পড়ে,
একটু কাঁপে কাঁচের জানালা,
আঙুলের ছোঁয়া লাগে ধূলিমাখা পুরোনো পাতায়—
যেখানে কোনো শব্দ জন্ম নেয়নি কখনো।
একটা নোটবুক খোলা পড়ে মেঝেতে,
পাতাগুলো বয়ে নিয়ে যায়
নিঃশব্দ ঘুমের ঢেউ,
যেখানে শব্দেরা কখনো এসছিলো না,
শুধু রেখা আঁকা হয়েছিলো অবর্ণনীয় এক অপেক্ষার।
বুকের ভিতর আশ্রিত
এক অদৃশ্য ছায়া,
যার মুখ নেই, কণ্ঠস্বর নেই,
তার অস্তিত্ব অনুভব করা যায়—
এক এক করে পাতাগুলো খসে পড়ার মতো নিঃশব্দ যন্ত্রণায়।
ঘরের এক কোণ থেকে
ঝরে পড়া আলো—
ঝিলমিল করে দেহে খেলা করে,
আকাশে অস্পষ্ট বৃষ্টি নেমে আসে,
মেঘেরা ছুঁয়ে যায় অপেক্ষার আঁধার,
সে শুধু চায়—
জীবনের নীরব লেনদেন থেকে নিজেকে মুক্ত করা।
কোনোদিন আসেনি সে আলো,
শুধু কাঁটা দিয়ে বোনা ছায়া
আর অপেক্ষার ভঙ্গুর জাল, যা বেজে ওঠে
নিঃশব্দ আর্তনাদে,
আঙুল দিয়ে ছোঁয়া যায় না, কানে বাজে না,
তবু বুকের ভিতর ফেটে যায়,
শব্দহীন এক ক্রন্দনে।
বাতাস বয়ে যায়
কাচের জানালা ছোঁয়ায়,
কোনো শব্দ নেই, কোনো প্রতিধ্বনি নেই,
শুধু সেই ছায়ার নীচে লুকানো থাকা নীরবতা,
যা দিনের আলোতে ম্লান হয়ে যায়।
নোটবুকের খামে জমে থাকে শব্দহীন আঘাত,
যেগুলো লেখা হয়নি কখনো,
তবু পড়তে শেখে শুধু সে,
যার হৃদয় ছিন্ন হয়ে গেছে চিরতরে—
কোনো অক্ষর ছাড়াই।
জুন ২২, ২০২৫, সকাল ৭টা
মিরপুর, ঢাকা