প্রতিদিন আমি একটা ছায়া বহন করি,
নিজের নয়—
এক সময় যে আমি ছিলাম,
তার অবশিষ্ট অভিব্যক্তি।
সে হাঁটে আমার সঙ্গেই,
তবে চোখে পড়ে না কারও,
জীবনের ভিড়ে সে একজন অনাহূত প্রেত।
এই ছায়া আর আলো চায় না,
সে ক্লান্ত—
না জেগে থাকার ভান,
না প্রতিদিন বাঁচার অভিনয়।
তাকে আমি অনেকবার বলেছি—
“তুই আর একটু থাক,
আলো আসবেই,
একদিন নিশ্চয়ই শব্দেরা ফিরে আসবে…”
সে শুনেনি, কিংবা শুনলেও ফিরেনি।
একদিন সকালে আমি তাকে পাইনি,
আয়নার নিচে ছায়াটা ছিল না,
চায়ের কাপে তার দৃষ্টির রেখা ছিল না,
ঘুম ভাঙা চোখের পাশের ভারটাও
হালকা লাগলো—
অস্বাভাবিক হালকা।
সে চলে গেছে,
অথচ কোনো বিদায়পত্রও রাখেনি—
শুধু একটু শীতলতা রেখে গেছে বালিশের পাশে,
আর দরজার ধারে এক ফোঁটা আলোছায়া,
যা বলে,
“আমি ছিলাম, আর নেই।”
এমন আত্মহত্যা হয়,
যেখানে রক্ত নেই, শব্দ নেই,
পুলিশ আসে না,
কেবল নিজেকেই বারবার
ময়নাতদন্ত করতে হয়—
কে মরে গেলো আমার ভিতরে?
আমি এখন আলোয় দাঁড়িয়ে থাকলেও
ছায়া পড়ে না পায়ের নিচে,
কারণ ছায়াটাও মরে গেছে—
নিজেরই এক প্রতিচ্ছবিকে হত্যা করে।
জুলাই ১২, ২০২৫, রাত ১২টা
মিরপুর, ঢাকা