শরীরের ভেতর এখন শুধু নিঃশ্বাস বেঁচে আছে,
অন্তহীন এক যন্ত্রণা,
যা শব্দের আগেই নিভে যায়,
মৃদু ঝনঝনেতে বেঁচে থাকার এক ধূসর ছায়া।

প্রাণের মাটি শুকিয়ে গেছে,
শুধু বাতাস বয়ে চলে ভেতর থেকে বাইরে,
কোনো ভালোবাসা, কোনো আশা ছাড়া,
শুধু এক অবিরাম প্রবাহ,
যা কোনো সুর ছড়ায় না।

আমি চলি,
কিন্তু পথ হারিয়েছি অনেক আগেই,
এক অদৃশ্য ভাঙা সেতু দিয়ে,
যেখানে পদচিহ্ন নেই,
শুধু নিঃশব্দ এক চলাচল।

দিন আসে, রাতে আসে,
কোনো আলোর বার্তা থাকে না,
তারা ঝলসে যায় দূরে কোথাও,
আমি শুধু দেখি,
হৃদয়ের একাকী দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে।

ভেতরে ঢুকতে পারে না কেউ,
নেই কোনো স্বপ্ন, নেই কোনো গান,
শুধু নিঃশ্বাস আসে, যায়,
সেই নিঃশ্বাস যা বেঁচে আছে;
অর্থহীন, নিঃস্ব, নির্জীব।

তবু সে নিঃশ্বাস ছুঁয়ে যায় কানে,
একটা স্মৃতির মতো,
যা বলে
“তুমি বেঁচে আছো,
তবু জীবিত নও,
একটি নিস্তব্ধ দর্শক হয়ে।”

শুধু নিঃশ্বাস বেঁচে আছে,
আর আমি,
একাকী এক পথিক,
যে নিজেকে খুঁজে পায় না,
শুধু হারিয়ে যায় নিঃশ্বাসের মাঝে,
এক শেষ বেঁচে থাকার প্রহর গোনে।

জুলাই ১৮, ২০২৫, রাত ১২টা
মিরপুর, ঢাকা