আমি নিভৃতে বিলীন হতে চাই,
কোনো শব্দ ছাড়াই,
কোনো চিহ্ন রেখে না
এক ফিসফিসের মতো,
যা বাতাসে মিশে যায় চুপচাপ,
দুপুরের তাপে শুকিয়ে যাওয়া পাতা হয়ে।

আমার অস্তিত্ব যেন এক গোপন গাছের মতো,
যে ধীরে ধীরে শুকিয়ে পড়ে,
ফুল ফোটায় না,
কেউ স্পর্শ করে না,
শুধু একাকী ছায়া হয়ে থাকে,
শূন্যতার কোলে গা ভাসিয়ে।

এই বিলুপ্তি নয় কোনো বিদায়,
না কোনো বেদনার কাব্য,
শুধু একটা নির্বাক নিঃশেষ,
যা হয়তো কখনো বোঝা হবে না,
কোনো কালের মুখে,
অন্ধকারের জলে ডুবে।

আমি চাই যেন,
আমার দহন হয় নিঃশব্দ আগুনে,
যা নিজেকে শেষ করে,
আর এক নতুন শূন্যতার জন্ম দেয়,
কোনো চিৎকার ছাড়া,
কোনো সত্তার শব্দ ছাড়া,
শুধু নিঃশব্দ এক অন্তর্দহন।

নির্বাক বিলুপ্তি
এক গভীর শান্তির নাম,
যেখানে আমার অস্তিত্ব পাবে শেষ আশ্রয়,
শুধু এক অদৃশ্য নীরবতায়,
যেখানে আমি আর কেউ নই,
শুধু একটি স্মৃতি যা ধীরে ধীরে মুছে যায়।

এমন এক বিলুপ্তি,
যেখানে আমার ব্যথা আর বেদনা নিভে যাবে,
জীবন থেমে যাবে এক শান্ত নদীর মতো,
যা কোনো তরঙ্গ তোলে না,
শুধু চলে যায় ধীরে ধীরে,
অচেনা গন্তব্যের পথে।

জুলাই ২০, ২০২৫, রাত ১১টা
মিরপুর, ঢাকা