বিশ্বাস শব্দটাকে আমার
এরোপ্লেনের মতো হয়;
খুবই ভারসাম্যের ইঙ্গিত বহন করে শব্দটি;
এরোপ্লেনের দুটো পাখার মতো;
একদিনে অ্তি-বিশ্বাস, অন্যদিকে বিশ্বাসভঙ্গ
যে কোন একদিকে
একটু বেশি কাত হলেই, জীবনের নাজুক পরিস্থিতি হয়।


একাকীত্ব, দহন, বিচ্ছিন্নতাবোধ, বিষাদ
আনন্দ, উল্লাস, সুখ, বিজয়...
ইত্যাদি অনুভবগুলো প্লেনের দুটো পাখার কারনে হয়;
তুমি ভিন্ন মত পোষন করতেই পারো
সে অধিকার তো সবারই আছে;
আমি কেবল আমার অভিজ্ঞতার
চোখ মেলে দেখি
বিশ্বাস ভঙ্গের “বিষাদ” কতোটা করুন হয়!!


সবার মাঝে থেকেও
নিজেকে একা মনে করার অনুভূতি
বিশ্বাসের হাত সরে গেলে হয় ;
একা থাকা, কেউ পাশে নেই, এমন হতেই পারে
সেটা কিন্তু একাকীত্ব নয়, সেটা কেবলই “একা থাকা”
খারাপ কি
ভিন্ন এক অভিজ্ঞতা, বৈচিত্র্যে ভরপুর!!


তুমি বলতে পারো
সেটা ক্ষনিকের একটু অনুভূতি মাত্র
তার কোন স্থায়ী ভিত্তি নেই;
সময় কথা বলে, জীবনের বাঁক পরিবর্তনে
সময়ের অবদানই বেশি;
এর সাথে বিশ্বাসের কোন যোগসূত্র নেই।
একাকীত্বকে সময়ের হাতে
ছেড়ে দিতে হয়;
নিজে আগলে রাখা প্রেক্ষাপটে কিছু ছাড় দিতে হয়।
একাকীত্বের কোন সূচক নেই
থাকে না।
আসলেই কি তাই? জানি না, হয়তো তাই কিংবা হয়তো নয় ...


সব জায়গাতেই থাকি
কিন্তু কোথাও নেই ;
কোথাও গ্রহনযোগ্যতা নেই, কোন স্বীকৃতি নেই;
কারোর কোন প্রয়োজন থাকে না;
প্রয়োজন ছিল হয়তো, কোন এক সময়
কিন্তু এখন নেই।
সবার সাথে, সব জায়গার সাথে সুর কেটে গেলে
বিচ্ছিন্নতা্বোধের জন্ম হয়।
আচ্ছা, সুর্য্যের প্রতিফলিত আলোয়
চাঁদ নিজেকে মায়াবী করে তোলে;
চাঁদ আর সুর্য্য কি কখনো বিচ্ছিন্নবোধে আক্রান্ত হতে পারে?
বলতে পারো?


সুর্য্যের আলো, দগদগে, জ্বলজ্বলে
মানুষের প্রয়োজন হয় প্রতিদিন;
কিন্তু প্রতিফলিত আলোর প্রতি এতো আকর্ষন কেন?
কেন এতো রহস্য?
এতো মায়াবী?
একে অপরের বিশ্বাসের ভারসাম্য দেখি প্রতিনিয়ত;
কেউ কারো মর্যাদা হরণ করে না;
কারো উপর অনধিকার চর্চা করে না;
কি অসাধারন এক ভারসাম্য!!!
মানুষ তো সৃষ্টির শ্রষ্ঠ বলেই জানি
মানুষ কেন, ভারসাম্যপূর্ণ হয় না?
জানি না।


আমি অতি বিশ্বাসী
অহংকারী, আত্মম্ভরি মানুষ দেখেছি;
অতি বিশ্বাসের লাভায় অন্যকে পোড়াতে দেখেছি
দহন দেখেছি;
কলিজা পোড়া গন্ধ শুকেছি;
শুধু বিশ্বাসের ভারসাম্য আজও দেখিনি


তুমি “ভারসাম্যের” প্রতীক হতে পারো;
আহ্বান করছি;
অপেক্ষাতেও থাকছি।


মিরপুর, ঢাকা
সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২২, ভোর ৬টা