সভ্য সমাজে শোকগুলোও
ছকে বাঁধা
মানুষ থেকে লাশ পরিচয়ে
শোকের যাত্রা
সভ্যতার নিয়মে
শোকের শেষটা নির্দিস্ট সময়ে গাথা


শোকের জেন্ডার আর শ্রেনী
বিশ্লেষণও থাকে
নারীরা হাউ মাউ করে কাঁদতে পারে
পুরুষরা শোকের দহনে বুক ফেটে মরে
শ্রেনীর দম্ভে এক চিমটে শোক
টিস্যুর আড়ালে ঢেকে থাকে মুখ


নিরক্ষর মানুষের নির্লজ্জ শোক
পরোয়া নেই যে যাই বলুক
শিক্ষিতদের আগে পিছে নানা ভাবনা
শোক লুকিয়ে রাখার চিরন্তন তাড়না
সম্পর্কের সুত্রে শোকের মাত্রা
কখনো শুধুমাত্র মাত্র বিলি হয় ‘শোকবার্তা’


সর্বাধিক চার থেকে পাঁচ দিন
অফিস আদালতের কাজ থেকে মুক্তি
এর বেশীদিন শোক থাকতে নেই
আধুনিক যুক্তি
থমথমে পরিবেশ, নরম সুরে কথা
নির্দিষ্ট সময়ের শেষ দিকেই যথাতথা


মুর্দার জন্য
ইচ্ছেমাফিক কুলখানি কিংবা
দান খয়রাতের আয়োজন
বেহেস্তে পাঠানো খুবই প্রয়োজন
বাধ সাধে শরীয়া বিশেষজ্ঞ
ইচ্ছে হলেই সব হবে না, তিনি ছাড়া বাকী সবাই অজ্ঞ


শোকের সামাজিকীকরন
কেউ দেখে না
বেঁচে থাকা মানুষগুলোর দহন;
সভ্যতার তাপে
মানুষ আর মানুষ থাকে না
ছন্দবদ্ধ শোক উদযাপনে ব্যস্ততা ছাড়ে না


মিরপুর, ঢাকা
জুন ০৪, ২০২০