বিকেলগুলো উৎফুল্লতায়
ভরপুর হতে পারতো;
অথচ কি অদ্ভুত শান্ত হয়ে ঘুমিয়ে থাকে
সাথে একটা দীর্ঘশ্বাস; কোলবালিসের মতো জড়িয়ে রাখে।


দুপুরটা গড়িয়ে যায়
স্থির জলছবির মতো
যাবতীয় অতীতের শীতল স্মৃতির গভীরে;
যেন বা, সঙ্গীতের অন্তরাত্মার স্বপ্নভঙ্গ বয়ে যায় অনিবার।


নিদ্রালু চোখে কাক ডাকা ভোর
পাখিদের ব্যস্ততার সঙ্গীত; মিশে যায় আত্মার গভীরে;
জমানো অভিমান পুরো দিনব্যাপী বয়ে নেয়ার প্রস্তুতি
তখনো গতকালকের রোগার্ত দৃশ্যবলি অমলিন।


কর্কশ দুপুরে ব্যস্ত নগরীর
ছুটে চলা মানুষের আনাগোনা; শ্রমজীবি মানুষের হাকডাক;
উষ্ণতা ছুঁয়ে দেয়ার অপেক্ষা
আরো একটি দিনের নিশ্চিন্ত অপচয়।


দৃশ্যের আড়ালে দৃশ্য
ঘনিয়ে আসা সন্ধ্যের তৎপরতা;
জীবনের মহড়ায় খসে পড়া একটি দিন
আত্মার রহস্য তখনো দেহের কাঠামোতে জীবন্ত।


ঐশ্বরিক মুহূর্তগুলো কেঁপে কেঁপে ওঠে
বিরল অনুভূতির স্পর্শে;
বিষাদের ফলগুলো পেকে গেছে খুব গোপনে
খুঁড়িয়ে  খুঁড়িয়ে চলা জীবন যাপনে।


মিরপুর, ঢাকা
সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২২, বিকেল ৫টা