শিশুরা একবেলা
শান্তিতে ঘুমোতে চায় নিশ্চিন্ত মনে;
জীবনকে জীবনের মতো করেই
আপন করে পেতে চায়;
উপভোগ করতে চায়;
অথচ, নিজেদের বাবা মা তা নষ্ট করে দেয়।


মায়ের হৃদয় এক টুকরো পাথর
সন্দেহের বীজ
বপন করে প্রতিনিয়ত;
বিজ্ঞানের যুগেও যাদুমন্ত্রে বিশ্বাস
অবিশ্বাসী ঈশ্বরের ক্ষমতায়;
তাবিজের মধ্যে খোঁজে শান্তি।


প্রবল ভালোবাসায় সিক্ত
মায়ের হৃদয়;
অথচ, ভালোবাসার অর্থ বোঝে না।
ভালোবাসার মানে, দখলদারিত্ব নয়
চর দখল হলো কিনা
তেমন চিন্তায় অস্থিরতাও নয়।


আত্মবিশ্বাসী বাবা
জীবনের স্বপ্ন দখলে রাখতে চায়;
দুমড়ে মুচড়ে ভেঙ্গে দিতে চায়
পরাজয়ের গ্লানি;
জীবনের অর্থ কেবল বস্তুগত পাওয়া নয়
ভালোবাসার ভাঁজে ভাঁজে জীবনের অস্তিত্ব।


ভালোবাসার স্বাধীনতা
এবং, সীমাবদ্ধতা দুটোই থাকে;
অবাধ স্বাধীনতায় বিচ্যুতির সম্ভাবনা থাকে;
স্বাধীনতায় বিশ্বাসী বাবা
মায়ের বিচ্যুতির খবর রাখেন না
নিশ্চুপ থাকেন।


ভালোবাসার অস্বচ্ছ ধারনা
প্যারেন্টিংকে আঘাত করে;
প্রকৃতির নিয়মে বাবা মা পরিচয়
কেউ কিচ্ছু শেখেনি;
শেখার আগ্রহ নেই
শিশুরা ঘুমোতে চায় নিশ্চিন্তে, পারে না।


প্রকৃতি শেখায়
প্রজন্মের ধারাবাহিকতার পদ্ধিতি
ভালোবাসার নিয়ামক শক্তি;
একে অপরকে জড়িয়ে রাখার রীতি
দিন শেষে থাকে একটা নিয়তি
কেউ শেখে না, শিশু প্রীতি।


শিশুরা সবই বোঝে
সবই জানে;
কেবল নিশ্চুপ থাকে
দগ্ধ হয় নির্ভরশীলতার তাপে।
প্যারেন্টিং সূচকে
নিজ পরিবারের সুখ মাপে।


প্রাচীন প্রতিষ্ঠান পরিবার
অথচ, সভ্যতার মায়াবি আঘাতে;
ভালোবাসার ভুল ব্যাখা
প্যারেন্টিং এর অহমিকা
ভুল পথের নিরীক্ষা
আঘাতে আঘাতে ক্ষত বিক্ষত বারং বার।


অনুভব, অনুভূতি, পর্যবেক্ষন
প্রতি রাতের যন্ত্রনার দহন;
নিজের সাথে নিজের কথোপকথন
ভেঙ্গে পড়া মন যখন তখন;
জীবনটা ফেরারী
এক যুবকের মধ্যরাতের ডায়েরী।


মিরপুর, ঢাকা
অক্টোবর ২৫, ২০২২, ভোর ৬টা