কি ভাবছো? পরীক্ষা দেবে না?
পাশ করবে না? খুব কঠিন পরীক্ষা?


মোটেই তা না
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বলেই দিয়েছেন
অধিক বোঝা চাপাবেন না
আবার, পরীক্ষা ছাড়া কাউকেই ছাড়বেন না;
ছাড় দেয়া হতে পারে, ছেড়ে দেয়া হবে না।


আদতে পরীক্ষা, খুবই সহজ কাম
ওপেন বুক এক্সাম, তার নাম।


প্রশ্নপত্র তো আগেই বলে দেয়া আছে
আসলে ফাঁস হয়ে গেছে;
তাহলে সব চিন্তা গেলো মুছে।
সকল প্রশ্নের উত্তরও এদিক সেদিক
ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে;
খুঁজে দেখো, টিক আর ক্রস চিন্থ আছে।
সময়টাও নির্ধারন করা আছে
শুধু ঘন্টার হিসেবটা উহ্য আছে
আলসেমী পেয়ে যায় শেষে!!!


টিক চিন্থ গুলো উত্তরপত্রে
যোগ করতে হবে
খুব ভালো হবে গুনিতক করলে তবে।
ক্রস চিন্থগুলো
মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলতে হবে;
বাদ দিতে হবে এক্কেবা্রে
আরো ভালো হবে,
ভাগ দিয়ে দিয়ে শুন্য হবে যবে।


উত্তরপত্র ভুল হলে
সংশোধনের ব্যবস্থা আছে জেনো;
নিমিষেই সব মুছে ফেলতে পারো
“ক্ষমা” নামক এক কথাতেই
লাফিয়ে লাফিয়ে এগুতে পারো।
নুতন কিছু লিখতে পারো
আবার নিজ দোষে পেছাতেও পারো।


পরীক্ষক শুধু
দেখবেন, মুচকি হাসবেন
আর অপেক্ষা করবেন।
অচিরেই তোমার খাতায়
নম্বর বসাতে বসবেন।


তিনি যেমন কঠিন
তারচেয়েও বেশী উদার, প্রশান্ত;
ফলাফল কি হবে
তাই নিয়ে, তবে কেন উদভ্রান্ত?
তোমার কাজ পরীক্ষা দেয়া
ন্যায্যতার প্রশ্ন না তুলে, মেনে নেয়া।


উত্তর দেয়ার সময়
এদিক ওদিক কেন তাকাচ্ছো?
দৃষ্টিশক্তি, শ্রবণ শক্তি সবই দেয়া আছে
তীক্ষ্ণ মেধাশক্তিও আছে
ওসব কাজে লাগিয়ে উত্তর দাও, বেছে বেছে।
ভুল হচ্ছে, হতে পারে
দোদুল্যমানতায় কেন ভুগছো?
আগেইতো সব অপশন বলা আছে
যে কোন সময়
ডিলিট করার সুযোগও আছে।
মনে রেখো, ঘন্টা পড়ে গেলে,
সে সুযোগ হাতছাড়া হবে শেষে।


উত্তরের গাইডলাইন একটাই আছে
দলবাজি, জোটবাজি, বাকী সব মিছে।
একবার পড়ো
বার বার পড়ো, গাইডলাইন আকড়ে ধরো
চোরাবালির পথ এক্ষুনি ছাড়ো।


এখনো ভাবছো, পরীক্ষা কঠিন?


একবার পরীক্ষার হলে বসে দেখো
কতোটা সরল পথ
জীবনকে উপভোগে রাখো।
প্রথমে মনে হতে পারে, ইমপসিবল;
ইট মাইট বি ডিফিকাল্ট
বাট সিওরলি পসিবল।


এপ্রিল ১৩, ২০২২
মিরপুর, ঢাকা
রাত ৮টা