আজ সারাদিন, গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি
সমুদ্রে সৃষ্ট, ঘুর্ণিঝড়
সিত্রাং এর পূর্ব প্রস্তুতি;
কোথাও যাওয়া হলো না
নীরবে কেটে গেল একটা দিন।


পুন্যতার চাষ হলো বেশ
মৃত্যুহীন পূন্যতার চাষ;
অন্যের গীবত করা হলো না
কারো সমালোচনা হলো না;
নিয়মিত প্রার্থনা বাদ গেল না।
কাউকে ল্যাং মারা হলো না
ঘুষ খাওয়ার সুযোগ হলো না
মিথ্যে বলার প্রয়োজন পরলো না
কোন পাপই স্পর্শ করলো না।


প্রকৃতির ভয়ংকর রূপে
আতঙ্কগ্রস্থ একটা দিন।
আসলেই কি পূন্যের চাষ হলো?
হাতছানি দেয়া পাপ থেকে
পালিয়ে থাকা
পাপকে নিজের নিয়ন্ত্রনে রাখতে পারা
যোজন যোজন পার্থক্য।


পাপকে মাড়িয়ে চলতে পারা
পাপকে এড়িয়ে চলা, আর
পাপ থেকে পালিয়ে থাকা
পার্থক্য আছে নিশ্চয়ই
ঈশ্বর জানেন মূল্যায়ন পদ্ধতি।


আমার কিন্তু
পাপ থেকে পালানো পছন্দ হয় না;
পাপকে নিয়ন্ত্রনের চ্যালেঞ্জ
মোকাবেলা অধিক গ্রহনযোগ্য মনে হয়।


জীবন যাপনের প্রয়োজনীয়
উপকরণের অভাব না হলে;
পাপ নিয়ন্ত্রন খুব সহজ
আজ যেমন হলো;
কিন্তু, তার স্থায়ী ভিত্তি কি?


পূন্যতার চাষ
লুকিয়ে থেকে হয় না;
চাষাবাদ হয়, শারিরীক, মানষিক
এবং আত্মিক পরিশ্রমের মাধ্যমে।
আজ হলো, বিনা পরিশ্রমে
পূন্যতার চাষাবাদ।


মিরপুর, ঢাকা
অক্টোবর ২৪, ২০২২, রাত ১২টা