মুখোমুখি বসে তোমার খুঁজে নেব জীবন উপমা
যদি চোখজোড়া অনিবার তুমি খোলা রাখো নিরুত্তমা
আসে বহমান জীবন অন্ধকার আকাশে-নক্ষত্রে
তেমনি আমার প্রেম জেগে রয় তোমার দু’চোখে
কৃষ্ণগহ্বর তারারন্ধ্রে বাস করে অতল সমুদ্র
এখানে মিশেছে নীলনদ, মিশিশিপি, ব্রহ্মপুত্র
দানিয়ুব, ইরাবতী, টেমস, আমাজন, টাইবার
তোমার চোখের মত এমন সমুদ্র নেই আর।


নিরুত্তমা, তোমার চোখ অনাবিষ্কৃত সভ্যতা
উত্তর-দক্ষিণ মেরু, উর্বর বিষুবীয় এক অঞ্চল
এখানে জন্মেছে ইতিহাস অমর কবিতা
অধ্যয়ন করেছি জীবন, ভু-কেন্দ্র, নভোমণ্ডল
উদিত সূর্যের ঘ্রাণ, ধাবমান তুখোড় অশ্বযূথের
শিলালিপি, নবপাঠ দুর্বোধ্য অচিন মানচিত্রের
নখর-ডানায় মেখে থাকা জীবাশ্ম ময়ূরাক্ষীর
ছাই থেকে জন্ম নেওয়া অতি প্রাচীন পাখির


আমি অবগাহন করে যাবো এই দুচোখে
আজ থেকে অনন্তকাল যতক্ষণ চেতনা থাকে
শস্যক্ষেতের আল-সমেত সংশপ্তক ভ্রুযুগল দিয়ে
আমি তো কাঙাল ফসল, রেখ আমায় ঘিরে!
আমার দুচোখ জেগে থাকুক তোমার দুচোখের ভাবনায়
যাবো মরে যদি দেখি সেই অপরুপ চোখে আমি নেই!
       (৮ ভাদ্র, ১৪২১, জিয়া হল, রা. বি.)