একটি সুতো, দুইটি সুতো, তিনটি সুতোর চরকি-মালা
কার হাতে কে পরবে গলায় নিদাঘরোদের বর্ষাদিনে!
গাছ তো ছিল গাছের মতন, বৃক্ষশাবক স্তন্যপায়ী
শাখামৃগের নাচন-কোঁদন সামলাতে ফের ভিরমি খেল!
এমনি করেই সমুদ্রদিন বন্ধ্যা রাতেই ফুরিয়ে গেল!


ওয়াচ টাওয়ার জল-সপসপ । মপিং করার মতন কারো
ফুরসতই নেই । হা-হা অকাল, সকাল হলেই শপিং মলে
দীর্ঘতর লাইন পাতা । ছাতা-মাতায় কার পকেটে
পয়সা না, স্রেফ জলের বিভাস । হাঃ স্রীনিবাস, কান্না ভোলো ---
রাত্রি কেবল ভিজছে, প্রিয়া, দরজা না হোক খিড়কি খোলো ....


কেউ ভোলে, কেউ বাদুড় দোলে, ঝোলে দেয়াল-ক্যালেন্ডারে
মায়ের রাঙা পায়ের মতন কার দু' পা, কই বিষের থলি!
রেড়ি তেলের কুপি জ্বলে, ডেল্টয়েডে দারুণ ব্যথা ---
ও-মা, আমার স্বপ্নকালের জলছবি কে করল চুরি!
বুকব্যথা নয় । লিভারে আজ যন্ত্রণা, তা গ্রেভ ইঞ্জুরি।


নদী তো নয়, নদীর মতো চওড়া মাপের শুভ্রমনা
এক বালিকার কান্না-ভেজা হাসির আলোয় ভুবন দেখা।
পাহাড় বেয়ে নামছে নদী, নদী তো নয়, ভীষন জেদি
এক বালিকার বঞ্জিত প্রেম, স্পর্শরঙিন পুষ্পবাতি।
আজকে হবে গাঁয়ের বনে সব পাখিদের চড়ুইভাতি।


শুকনো মুখে ঠায় দাঁড়িয়ে অপেক্ষাতে রোদের শিশু।
এস.এম.এস.-এ মন ভরে না, কলমে নেই আদৌ কালি।
বোবার মতন মনুষ্যজীব দৃষ্টিবিহীন, মরূদ্যানে
আসর জমে কঙ্কালময়, ঘরের ভেতর নৃত্যরত ---
রতনকে আজ খুঁজছে রতন, দুঃখ জড়ায় ওতঃপ্রোত ....