আধুনিক প্রেম।
সেখ নাসিম আহাম্মাদ।


হাঁতড়ে স্মৃতি পড়ছেনা মনে—
পড়েছিলাম কৈশরের ক’নো এক সময়ে—
নামজাদা ক’নো এক সাহিত্যিক এর সাহিত্যে।
প্রেম একটা “শিল্প” যেখানে দুজন “শিল্পী” করে অভিনয়।
যেখানে দু-জন দর্শক। আর দু-জনই অভিনেতা।
এবং প্রেমের চূড়ান্ত পরিনতি বিছানা।
যে আগে নিতে পারবে বিছানায়।
সেই হবে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা।
সেই তো বেশি দক্ষ।
তাই তিনি বলেন প্রেম বলে কিছু নাই।
কিছুটা শরীরের টান + কিছুটা চোখের নেশা = ভালোবাসা।


আধুনিক প্রেমে যেন তারই জ্বলন্ত প্রতিচ্ছবি।
প্রেমি তো নয় ! যেন বই এর পাতার মাঝে তোলা জলছবি।
প্রেম তো শুধু প্রেম নয়, যেন যৌনতা-র হাতছানি।
পরিনতির নো পরওয়া, হয় শুধু কানাকানি।
নিন্দুকেরা কন---  
বারো তেই বারো, বারো পেরোলে নাকি আরও।
অব গতির করেছি চেষ্টা, হিসাবটা এখনও মেলেনি যদিও।
অষ্টম-নবম শ্রেণীর কিশোর-কিশোরী দের নাকি হিসাব হয় রাখতে।
চলে অলিখিত প্রতিযোগিতা, সংখ্যাধিক্যে কে কত পারে আগাতে।
আঠারোর মধ্যে অধিকাংশই, শারীরি খেলায়, হ’য়ে ওঠে বেশ পক্ত।
মুঠো ফোনের দৌলতে ওরা এত আধুনিক আচরণে বোঝা খুব শক্ত।
টেক্স বুক লাগে বিরক্তির, ফেস বুক ছাড়া কাটেনা সময়।
পড়াশুনো! সে চুলোয় যাক, মোবাইলে রিচার্জ থাকা চায়।
বাড়িতে বিশেষ প্রয়োজনে, ব্যবহার হয় স্কুল কোচিং এর অজুহাত।
অনুপস্থিতির কারণে জরিমানা হ’লেই তো বাড়ির কাজের অজুহাত।
উপস্থিতির হার হয়ত বেশি হ’তো, পড়াশোনাটা যদি পার্কে হ’তো।
ইতিহাস, ভূগোল, অংক, না হয়ে যদি প্রেমের বিষয়ে পড়ান হ’তো।