ভালবাসার অনুভূতি …
কিছুদিন যাবৎ নানান পীড়ায় জর্জরিত।
তিনদিন প্রবল স্নায়বিক উত্তেজনায় শয্যাগত।
হঠাৎ ললাটে কোমল হাতের স্পর্শে অভিভূত, চকিতে চোখ মেলে দেখি বড়দি।
সামান্য পরশ মমতা নিংড়ানো চাহনি-
ভাবাতুর মুখে প্রশ্ন- কেমন আছিস ভাই জ্বর কি খুব বেশি?
ক্ষণিকের জন্য মনে হল- এমন পরশ পেতে আজীবন শয্যাশায়ী হতে রাজি।
জীবনের পড়ন্ত বেলায় পেলাম- ভালবাসার এক নতুন অনুভূতির সাজি।
এ- যাবৎ মানতাম ‘ভালবাসা’ ভাষায় প্রকাশ করার জিনিষ নয়।
আচরণে প্রমাণ করতে হয়, এখন ভাবছি কথাটি সম্পুর্ন ঠিক নয়।
‘ভালবাসা’ মানে বাঁধভাঙ্গা উচ্ছ্বাস, আবেগ, শারীরি ভাষার স্বিকারক্তি।
‘ভালবাসার’ পূর্ণতা মানে- অভিমান, অনুরাগের দৃড় অভিব্যক্তি।
মনঃকষ্ট, শারীরিক যাতনা, পৌরষে বাধে, বাধ্য না হলে হয়না ব্যক্ত।
অর্ধাঙ্গিনী সর্বদা স্ব-মহিমায়,  অধিকার বোধে সদা জাগ্রত।
সমস্ত জীবন সং বার, উপলব্ধি বাড়ছে নিত্য দিন।
সহচরি ভাবে পাষন্ড বর, নিজ স্বার্থে আপোষহীন।
বুঝলাম-না ছাই—
কোনটা তার অভিযোগ! কোনটা তার অভিমান!
কোনটা তার অনুরাগ! কোনটাই বা তার অপমান!
আপনভোলা এক পথিক, সংসারে যথেষ্ট অহিনা।
বাহিরেই বেশি স্বছন্দ, কিন্তু দায় এড়াতে পারিনা।
যখন তখন যেখানে সেখানে ভ্রমনে হই রওয়ানা।
আদেশ, নিষেধ, অনুরোধ কিছুই পরওয়া করিনা।
কিন্তু সেখানেও নাই সুখ, চঞ্চল মন সর্বদা অতিষ্ঠ।
গগন ভেদি লক্ষ, অনুধাবনের চেষ্টা কি- তার কষ্ট।