দয়াময় প্রভু


ধাববান আমরা অদৃশ্য এক আকর্ষণের টানে।
জীবনের চড়াই উতরাই মাড়িয়ে ছায়ার পানে।
হাঁটছি আমরা দুস্তর ব্যবধান হীন ব্যবধানে।
নিয়তির কাঠপুতলি হয়ে পুতুল খেলার টানে।


পথ ঘাট নদী নালা জঙ্গল পর্বত পেরিয়ে।
জীবনের মোহে চলেছি চির সত্য মৃত্যুর ছায়ে।
কলকল শব্দে নদী যায় বয়ে সাগরে বিলীন হয়ে।
মহা-মিলনের টানে আমরা বয়ে যাব ইতিহাস হয়ে।


প্রথম যেদিন ধরণী ছুঁয়ে কেঁদেছি।
স্রষ্টাকে সেদিন-ই অজ্ঞাতে ভুলেছি।
প্রথম যেদিন সূর্যের কিরণ দেখেছি।
স্রষ্টাকে করা প্রতিজ্ঞা সেদিন ভুলেছি।


সেই প্রথম দেখা সূর্যোদয় ও দুপুরের প্রখরতা।
সায়াহ্নের রক্তিম-প্রভা ও রাত্রির নিঃশব্দতা।
শৈশবে স্নেহ ভালবাসা যেন চাঁদের স্নিগ্ধতা।
যৌবনে অমূল্য সময় নষ্ট করার মানসিকতা।


বার্ধ্যকে পৌছে যখন মেলাতে চাই হিসাবের খাতা।
প্রকাশ পায় যৌবনে প্রেমের অভিনয়ে করা যৌনতা।
নাম যষ প্রতিষ্ঠায় করা ছল-চাতুরি ও রুচির দৈনতা।
আবশ্যিক কর্তব্যে গাফিলতি ও সজ্ঞানে সেচ্ছাচারিতা।


এখন সাজতে চাই সাধু।
করতে হবে ভালো কিছু।
চাই প্রায়চিশ্ত যত কালো কিছু।
পাপ কি আমাদের ছাড়বে পিছু?

সময় হয়ে চলেছে শেষ।
রেখেছি সাদা দাড়ি বেশ।
সালাত আদা করছি শুভ্র কেশ।
করছি হ্বজ ফিৎরা জাকাত পেশ।


কৈশোর যৌবনের অমূল্য সময় অকারণে করা নষ্ট।
যখন পারাযায় বুঝতে তখনই হয় না বোঝার কষ্ট।
চলছে মহড়া মহা বিচার-দিবসের আমরা সব কলা-কুষলি।
মঞ্চস্থ হবে কাল-কিয়ামতে হাতে থাকবে পাপ-পুণ্যের ঝুলি।


ফিরবেনা আর ফুরান সেদিন, কি’হবে স্মৃতি-রোমন্থনে।
দাঁড়াতে হবেই স্রষ্টার সম্মুখে, সেই রোজ-হাশরের দিনে।
ওগো প্রভু দয়াময় চেওনা হিসাব কঠিন সে বিচারের দিনে।
তুমি তো রহ্-মানুর-রহিম ক্ষমা দিও মোদের তুমি নিজ গুনে।