কি সম্বোধন করি বলো তোমারে!
সেখ নাসিম আহাম্মাদ।



কে তুমি! মরমে মধুর ঝংকার তুলে, হৃদয়ের চোরা গলি বেয়ে,
পুলকময় পরশে হৃদয় ক্ষত করতে চাও।
কোন বাগিচার ফুল তুমি, ফুলের পরাগে রাঙ্গিয়ে দিয়ে,  
ঝনক ঝনক নূপুর তালে মাতিয়ে দিয়ে যাও।


বসেছিলাম লিখতে কবিতার কথা, জুড়ে বসলে গোটা মনটা,
নিজের কথা যেন নিজেই যেতেছি ভুলে।
রয়েছি তোমা হতে বহুদূরে, দূরে থাকার কঠিন যাতনাটা,
বুঝে নিও তুমি মনের দরজা খুলে।


গড়েই ওঠেনি যখন সম্বন্ধ, কি সম্বোধন করি বলো তোমারে,
তুমি যে আমার কল্পলোকের মানবি রাজকন্যা।
হৃদয়বীণা উঠলো বেজে, তব ছোঁয়ায়, নব সুরে, নব ঝংকারে,
তুমি যে আমার মণিহার, হৃদয় হরষ বন্যা।


অন্তরের অন্তস্থলে অঙ্কিত যে ছবিটা তব সম্মুখে প্রকাশিত হলনা
তা তুমি বুঝে নিও তোমার অন্তরাত্মা থেকে।
আজ দুঃখের ঘন বর্ষায়, চোক্ষের জল আটকাতে পারলামনা,
বক্ষের দরজায় অজানা বন্ধুর ভালবাসা নিও মন থেকে।


আমি তোমার ভিক্ষে হৃদয় মালী, আর কিছু নাহি চাহি গো,
তোমার প্রত্যাশায় আছি আজও আমি বসে।
তোমার বিরহে দীর্ঘ দিবস রজনী কাটিতে নাহি চাহে গো,
মর্তের সব বাধা দূরে ঠেলে ধরা দাও এসে।


এসো গন্ধে বরণে, এসো গানে, এসো অঙ্গে, এসো পুলক ময় পরশে
দেখ নীল দিগন্তে উড়ছে কত পাখি ঘুরে ঘুরে।
এসো মুক্ত মদির প্রণয় আনি, এসো তুমি নব নব রূপে, নিশির অন্ধতাময় হরষে।
আর প্রতীক্ষা নয় এসো পাশে, থেকোনা তুমি দূরে দূরে