পাষাণ হৃদয়।
সেখ নাসিম আহাম্মাদ।


জীবন তরী ভাসছিল বেগে হাওয়া লেগেছিল পালে।
দমকা হাওয়ায় আরোহিদ্বয় দিশাহারা কে আসবে হালে।
দয়ার অনুদান নয়, অভিলাষ ছিল এক্তিয়ারের।
বেদনায় প্রলেপ নয়, প্রত্যাশা ছিল প্রতিকারের।
বিনিদ্র রজনী কেটে গেছে কত ভরা জোছনায়।
কপট রোদনের ইন্দ্র জালে মহিমাময়ী ছলনায়।
সেদিনের সে চাঁদ বদন আজ আমাবস্যায় ঢাকা।
আঁকা ছিল কত স্বপ্ন সেই স্বপ্নেরা আজ একা।
পরিহাস কিনা কে-জানে, ছিল তো চোরা চাউনি।
দিয়েছিল সব কিছুই, সন্দেহের উর্দ্ধে উঠতে পারেনি ।
কত কাল এক সাথে এক ঘরে এক বিছানায়।
এসেছে কুল-প্রদীপ, বিরাজমান সে স্ব-মহিমায়।
দুজনার মাঝে অজান্তে বালি্স জায়গা পাকা করে নেয়।
অভিমান আর অনুরাগের মাঝে সে নিজেই ফেঁসে যায়।
টিক টিক সময় কেটে যায় সামাজিক নিয়মের তালে।
তবু হাসি মুখেই চলতে হয় আঁটকে ছলনার জালে।
প্রাকৃতিক চাহিদায় শরীর সাড়া দিতে চায় বারবার।
দয়া আর অধিকার মাঝে মাঝে হয়ে যায় একাকার।
চরম মূহূর্তেও বিদ্ধ বিবেক বাণে এই কি সেই ভালবাসা?
এমন অন্তরঙ্গতা শুধুই জৈবক্ষূধা না আরো কিছু প্রত্যাশা।
হৃদয় ক্ষরিতরস মিশে গেছে প্রতিটি শিরা উপ-শিরায়।
পাষাণ আমি! আজও ভালবাসতে পারলাম না তোমায়।