ঘরের বাইরে না গেলে,কিভাবে দেখিব আমি রঙীন এই ভুবন!!
বিষন্ন মন আমার এক নিমিষে শান্ত হয় ,দেখিয়া তোমার সৃজন।
বাংলার মেয়ে আমি,সবুজ -শ্যামলে আমি মুগ্ধ,
পৃথিবীর এই রঙীন রুপ কখনো দেখিনি আমি,
তাই তো হয়ে যাই , মাঝে মাঝে স্তব্দ !!
পথের দুই ধারে শুধু লাল ,হলুদ আর মেহরুন গাছের ছড়াছড়ি,,
জান্নাতের আলোক ছায়া ফেলেছে বুঝি, তাই তো এত সাজা সাজি
আহা !পৃথিবীটা যেন গোধুলীর হলুদ মেখেছে,
মেহেদী রং এর বসনে সে যেন অপরুপা সেজেছে।
আহা !কি যে চমক তার বনে বনে,ভিতরে- বাহিরে
গাথিয়া রেখেছি,আমার গহীন মনের কোনে-কোনে।
যতই দেখি মন ছুয়ে যায়,চক্ষু জুড়ায়, নাইকো রং এর শেষ।
এত সাজ-সজ্জা,কেন যে এত রঙীন বেশ।
পায়ে চলা পথটাও দেখি রঙীন পাতায় ঢাকা,
বিধাতার নূরের ছোয়ায় চমকিত এক শিল্পকর্ম আকা ।।
কে যেন সজ্জিত করিল রঙীন এক তোরন,,
আসমান থেকে পরীরা নামিবে বুঝি , হয়তো করবো আমরা বরন!!
পৃথিবীর এই পাশ থেকেই পথটা বুঝিবা গেছে স্বর্গের দুয়ারে,
কি যে মনোহর !উপমা নেই যে তার,মনকে শুধাই ,শুধুই বার বার।
এতো ঝরা পাতার দেশ নয়,তুষার- সাদা বেশ নয়,
এ যে রঙীন বসন্তের এক মহাযজ্ঞ,
জানিনা কোন সে খুশীর বার্তা পাঠাবেন প্রভু,
আমরা যে মহা অকৃতজ্ঞ।
তাই তো তোমার কাছে ই মাথা নত করি, ওগো প্রজ্ঞাময় ,
তোমার মহিমায় রঙীন করিও, আলোকিত করিও,
সকল মানবের চিত্ত-হৃদয়-নিলয় !!!