সেই দূর দিগন্তে সবুজ বনানী,
শাল- শিমুলের ছায়ায় ঘেরা সে গ্রাম।
চোখে দেখা নয়, শুধু গল্পে শোনা,
সবাই বলে কৃষ্ণগঞ্জ নাকি তার নাম।


মেঠো পথ যেথা ওড়ায় ধুলো,
অন্তহীন সবুজ ধানের মাঠ।
ভোরের আলো পড়ে ধানের শীষে,
শাপলা পলাশে ভোরে থাকে দীঘির ঘাট।


শুনেছি, পাটের ক্ষেতে বৃষ্টির পর,
জমতো বিশাল জল।
আর তাতেই নাকি ঘুরে বেড়াত ,
পুকুর পালানো কই মাছের দল।


শুনেছি ছোট শিশুরা করতো,
তার মধ্যেই জলকেলী।
আর সুধাতো একে অপরকে,
তুই কটা মাছ ধরে নিয়ে এলি?


নদীর তীর ধরে বয়ে যাওয়া ডিঙি নৌকা,
আর সেই মাঝি মল্লার উজানের গান।
"আমরা তো মানি না ভাটি উজান,
সামনে সমুদ্দুর খোলা আসমান"।


জানিনা হয়তো এখনো শোনা যায়,
আর পাল তুলে হওয়ার তোরে,
ভেসে চলে যায় কোন দিগন্তে,
কোনো এক কুয়াশা মাখা ভোরে।


রাত হলেই সেথা পানা পুকুরে,
চলে সেই আলেয়ার আলোর খেলা।
ঠাকুমা শোধায় তার নাতিরে,
বাছা ওদিকে যেওনা রাতের বেলা।


জোনাকিতে ভরে ওঠে বাঁশের ঝাড়,
করবীর গন্ধে মোহিত হয় ধরাধাম।
চোখে দেখা শুধু গল্পে শোনা,
কৃষ্ণগঞ্জ ছিলো সে গাঁয়ের নাম।