বয়স আমার ২, হয়েছি আমি বেসামাল
চলতে শিখেছি সবেমাত্র, চল্তে গেলেই টাল মাটাল ।।
সবাই বলে ধর ধর ধর গেল বুঝি পড়ে যে ছেলে
মা এসে দৌড়ে ধরে আমাকে তার স্নেহের আঁচলে ।।
এবার আমি ৫ হয়েছি সত্যিই বড়োই দুস্টু
দিয়েছে বাবা বকা আমায়,করেছিলাম যে দুস্টুমি শুধু একটু ।।
রাগ হয়েছে খুব আমার, ভাত খাব না বলেছি আমি আজ
ছোট বলে রাগ নাই আমার, করুক বাবা তাঁর আছে যত কাজ ।।
মা শুনেছে বকেছে খুব, বাবা আজ আমায়
তাইত,বাবাকে মা বকা দিয়ে ভাত খাইয়ে দিয়েছে আমায় ।।
এখন আমি ৮, হয়েছি বড়োই শান্ত
ঘরটাও তাই হয়না এখন অশান্ত,
দিলে বাবা বকা আবার ,বসে থাকি ঘরের ঐ এক কোণে
কাঁন্দি আর তাকাই শুধু মালা দেওয়া মায়ের ঐ ফটো ফ্রেমে ।।
আসে না মা আর, দেয় না বকা বাবাকে
বলে না আর "কেন বকেছোগো আমার বাবুসোনাকে ।।"
ঘরের কোণে বসে কাঁন্দি, যদি মা আসে এক্ষুনি
বলব আমি করব না আর কোন রকম দুস্টুমি ।।
আসে না যে মা আর, দিন গরিয়ে সন্ধ্যা হয়
চোখে ভাসে চিতার আগুন, কত মানুষ কাঠ সাজায়...
আহাঃ মায়ের যে সারা শরির জ্বলে যায়
কেউকি আছো মায়ের যে খুব কষ্ট হয় ।।
এসো এসো কাঠ সরাও, মা যে এক্ষন ঘুমায়
হায়রে জানেনা সে একেই যে চিরশান্তির ঘুম কয় ।
শোনে না যে কেউ তার কথা, চোখের সামনে তার মা পুড়ে যায়
শুধু ছাই আর ভালবাসার মধুর স্মৃতি খানি শেষ পর্যন্ত রয়ে যায় ।।
শুধু অঝরে কান্দে আর ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে বলে,
"আমার মাকে কেউ এনে দাও ,আমি মায়ের কোলে যাব"।।