আলোচক প্রযুক্তির প্রান্তরে বিলুপ্ত আজ জীবনের সহজাত স্বচ্ছতা।
জ্ঞানের জোয়ারে হাবুডুবু সমাজ, অথচ মনুষ্যত্বের মরূভূমি ক্রমশ প্রসারিত।
আদর্শ আজ ইতিহাসের পৃষ্ঠা,
মূল্যবোধ পরিণত হয়েছে অলঙ্কারিক অলাপ।
মেকি সৌজন্যের আবরণে আবদ্ধ সহজ মানবিকতা,
যেন দমবন্ধ এক বন্দিশালা।
স্পর্শহীন পর্দার পেছনে ক্লান্ত হৃদয়,
সম্পর্ক যেন এক প্রেতাত্মার মতো বিলীন।

ভবিষ্যতের নির্মাতা পিতামাতা আজ যেন নিষ্প্রভ কণ্ঠের প্রতিধ্বনি।
রকের আড্ডায় আত্মসুখ খোঁজে প্রজন্ম,
ভুলে যায় প্রজ্ঞার প্রকৃত সংজ্ঞা।
দায়িত্ব তাদের কাছে কিংবদন্তির মতো!
যেন অস্তিত্বের বাইরে এক অধরা শব্দ।
চাতুর্য হয়ে উঠেছে জীবনের অভেদ্য ঢাল,
আন্তরিকতা আজ দগ্ধ ছাই।
ভার্চুয়াল গোলকধাঁধায় সংবেদনশীলতা গলে যায় নিরবতায়।

রাজনীতির কূটাভাসে গ্রাসিত হয়েছে চেতনা, পরিণত হয়েছে প্রোগ্রামড দাসে।
মায়ার তকমা এঁকে মেকি সুখে আত্মসমর্পণ করে তারা, মুক্তির মর্ম অজ্ঞাত।
হৃদয়ের গভীরে শূন্যতার কর্কশ প্রতিধ্বনি,
সুখের অভিনয়ে চাপা দীর্ঘশ্বাস।
জীবন আজ এক কৃত্রিম নাট্যমঞ্চ,
দৃশ্যের পেছনে সত্য অনুপস্থিত।
আলো আছে, তাপ নেই; শব্দ আছে, স্পন্দন নেই।

স্নেহের বন্ধন আজ কর্তব্যের যান্ত্রিক কারাগারে বন্দি।
প্রজন্মের চোখে নেই আলোকবর্তিকা, কেবল চাহনি—আত্মকেন্দ্রিক।
স্বাধীনতা একটি অলীক স্বপ্ন,
বিবেক পরিণত হয়েছে বোবা সাক্ষীতে।
অভিনয়ের আবরণে ঢাকা পড়ে আত্মার আকুতি, অন্তঃস্থ কাঁপন।
এই যান্ত্রিক বিস্ময়ের দুনিয়ায়, জীবন শুধুই এক প্রলম্বিত প্রতীক্ষা।

==========