সে রাত্রি ছিল না নিছক কোনো জ্যোৎস্নাপ্লাবিত প্রহর,
ছিল এক অন্তর্গত বিস্ফোরণ!
চেতনাতীত আবেশে আমি যেন ছুঁয়ে ফেলেছিলাম
অজ্ঞেয় কোনো আকাশের কল্পলোক।
তারকাবীথির অপার দীপ্তি—
বিচ্ছুরিত করছিল হৃদয়ের গহিন অলিন্দ!
যেন শ্রাবণভেজা আকাশ জেগে উঠেছিল
এক অমোঘ প্রজ্ঞার ভাষ্যে।
ঝিরঝিরে হাওয়া নয়,
সে ছিল এক নৈঃশব্দ্যরথে ভেসে আসা কবিতার পরশ,
যা ছুঁয়ে গিয়েছিল আমার আত্মার গভীরতম রন্ধ্রে!
যেখানে শব্দ থেমে গিয়ে সৃষ্টি করে অক্ষরহীন ব্যঞ্জনা।
তখনই তুমি এলে!
এলে এক নিঃশব্দ মুহূর্তে,
যখন রাত্রির নিবিড়তা ছুঁয়ে ফেলেছিল সময়ের সীমারেখা।
তোমার আগমন ছিল- না দেখা, না শোনা,
ছিল কেবল অনুভবের গভীরতম প্রকাশ।
তোমার স্পর্শে,
জেগে উঠেছিল এক চিরন্তন সমর্পণ!
কোনো দাবি ছিল না,
ছিল শুধু নির্জনতার অলিন্দে প্রেমের মহাস্নান।
তুমি যে আমার—
এই উপলব্ধি হয়েছিল এক দিগন্তবিসারী সত্য,
যার পরে আর কিছু নেই,
নেই আর চাওয়া, নেই কোনো উচ্চারণযোগ্য বাসনা।
সেই রাত্রি ছিল না রাত,
ছিল এক দিব্য পরিপূর্ণতা—
যেখানে তুমি, আমি, আর নির্জন আকাশের জ্যোৎস্না
মিলে লিখে গিয়েছিলাম
এক নীরব অথচ অনন্ত প্রেমের আখ্যান।
========