ধূলিঘেরা রক্তমগ্ন প্রান্তরে ইতিহাস নিঃশব্দে কাঁদে,
নিপীড়নের নির্মম ক্যানভাসে আঁকা প্যালেস্টাইনের প্রাচীন প্রতিকৃতি।
স্বৈরাচারের ব্যুহে বন্দী মানবতার করুণ আর্তনাদ,
নির্বাক পৃথিবীর নৈতিক অবসাদে—বিস্মৃত আত্মার বেদনা ব্যঞ্জনা।

ধূসর মৃত্যুর গর্ভে জেগে ওঠে এক জনপদের নিঃশেষপ্রায় প্রতিরোধ,
যেখানে তপ্ত সীসার ছায়ায় সূর্যও দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে ওঠে অস্তমুখী।
প্যালেস্টাইন—এক গৃহহীন মহাকাব্য,
যাকে ইতিহাস শেকল পরিয়ে বন্দী করেছে বিস্মৃতির কারাগারে।
রক্তরঞ্জিত ভূমিতে করুণার অঙ্কুর দমবন্ধ করে!
কাঁদে ধ্বংসস্তূপে গড়া শিশুহাসির অবশেষ।

সময়ের চেতনাহীন জলছবিতে প্রতিফলিত হয় মানবতার নিষ্প্রভ অবয়ব,
যেখানে ন্যায় বিচ্যুত হয়ে পরিণত হয় মৌন দুঃস্বপ্নে।
এই ভূখণ্ড শুধু রাজনীতি নয়—
এ এক আত্মার প্রতিধ্বনি,
যার প্রতিটি ধ্বংসস্তম্ভে লেখা রয়েছে অবিচারের ব্যাকরণ, আর প্রতিরোধের মৌন মন্ত্র।

প্যালেস্টাইন—এক প্রলম্বিত ব্যথার ভূগোল,
যেখানে রক্তাক্ত প্রান্তরে নিষ্ক্রিয় বিবেকের শোকচিহ্ন আঁকা প্রতিদিনের সূর্যোদয়ে।
ধ্বংস ও দুঃখের অনিবার্য ব্যাকরণে বাঁধা এক জনপদের আত্মচিৎকার,
যা সভ্যতার বিবর্তনে পরিণত হয়েছে অনুচ্চারিত অস্বীকারে।
জাতিসত্তার এই ক্রন্দন যেন আন্তর্জাতিক ন্যায়ের পরিধির বাইরে ছিটকে পড়া কোনো নির্বাসিত অক্ষর,
যার প্রতিটি উচ্চারণ রুদ্ধ, প্রতিটি আর্তনাদ অদৃশ্য কূটনীতির নীরব ভাঁজে লুপ্ত।

এই ভূমি এখন আর কেবল ভূরাজনৈতিক সংঘর্ষ নয়;
এ এক নৃশংসতা-প্রসূত প্রতিস্পর্ধার ধ্বনি,
এ এক জাতিগত নির্যাতনের প্রতীকী স্মারক।
প্যালেস্টাইন বেঁচে আছে ধ্বংসাবশেষে, বারুদের গন্ধে, শিশুর অসমাপ্ত স্বপ্নে,
আর বিশ্বসভ্যতা, জ্ঞান, নৈতিকতা আর প্রগতির দাবিদার—
চুপচাপ সাক্ষ্য দেয় এক বিস্মৃত বিপর্যয়ের।

=======