চেতনাপরিসরের অন্তর্লীন স্তরে,
অতীতমথিত প্রতিস্মৃতি ও প্রস্থানবোধের জটিল বিন্যাসে গঠিত হয় এক অন্তঃসলিলা বিষাদরাশির অশ্রুত সংগীত।
এখানে অনুভব নয়, অনুরণনই সত্য;
অনুভূতির অবয়ব খুঁজে ফেরে এক অব্যক্ত আবেগের অলীক ব্যাকরণে।
আলোক-অন্ধকারের দ্বান্দ্বিক প্রতিসরণে স্ফুরিত হয় মায়াবী চিত্রপট—
যেখানে হৃদয়ের সোপান বেয়ে ধাবিত হয়, অনির্দেশ্য অভিপ্রায়ের ধ্বনি,
যা ভাষাহীন অথচ গভীর অর্থবাহী।
জোছনার চিরায়ত আলো নয়, প্রতীক্ষার গূঢ় সত্তা এখানে ধ্রুবতারার মতো স্থির, নিরবধি।
নিবিড় নৈঃশব্দ্য ছুঁয়ে যায় চেতনার প্রান্তর,
যেন এক অলৌকিক উপশমন—
আলোকিত না হয়েও আলোকসম্পন্ন।
কালচক্রের অন্যমনস্ক গমনপথে জোনাকির ক্ষীণ দীপ্তি হয়ে উঠে প্রেমের গূঢ়!
হয়ে উঠে অলিখিত মন্ত্রপাঠের অনুকাব্য,
যা কেবল অনুভব করা যায়,
উচ্চারণে যার ব্যঞ্জনা ক্ষীণ হয় অস্তিত্বের বিপরীতে।
=========