অবিশ্বাস এক দহনশীল শিলা,
যা হৃদয়ের অলিন্দে আঘাত করে নিরবচ্ছিন্ন ক্ষরণে।
এটি নীরব এক মহামারী—শব্দহীন অথচ কর্কশ,
যার উপস্থিতি অনুভূত হয়, প্রতিটি নিশ্বাসে বিষাক্ত ধোঁয়ার মতো।
সম্পর্কের শিরায় শিরায় আলগা হয়ে আসে আস্থা,
বিশ্বাসের দৃঢ় প্রাচীরেও ফাটল তোলে অস্পষ্ট ইঙ্গিতের বিষবাষ্প।
আলো আর অন্ধকারের মাঝখানে ঝুলে থাকা একটা অস্পষ্ট ছায়ার নাম অবিশ্বাস।
এটি শব্দহীন অথচ প্রচণ্ড গর্জনশীল!
যেন এক অদৃশ্য ভাঙন!
যা অন্তরকে ক্ষতবিক্ষত করে!
নিঃশব্দে ঝরে ফেলে অনুভূতির পত্রপল্লব।
অবিশ্বাস এক অভিশপ্ত বাতাস,
যা মনোজগতে বয়ে আনে বিষাক্ত কুয়াশার আস্তরন।
প্রতিটি কথার আড়ালে একটি প্রশ্ন চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকে,
প্রতিটি নীরবতার মাঝে একটি সন্দেহের সাপ ফণা তোলে।
অবিশ্বাস—ভালোবাসার শিরদাঁড়া গুঁড়িয়ে ফেলে,
সম্মানের ভিত্তি নড়িয়ে দেয়,
আর আত্মার আয়নায় একটি বিকৃত প্রতিবিম্ব এঁকে চলে।
তবুও, মানুষ বাঁচে—বুকের গভীরে গুমরে থাকা বিশ্বাসের শেষ অণু ধরে রেখে!
আশা করে একদিন হয়তো সত্যের নির্মল আলোয়
অবিশ্বাসের সমস্ত অন্ধকার বিলীন হবে।
কিন্তু সত্যি কি হয় তা?
নাকি অবিশ্বাস চিরকাল একটি স্নায়বিক ছায়ার মতো
আড়ালে থেকে যায়—
চুপচাপ, অথচ সর্বগ্রাসী?
=========