সাহিত্য এক অব্যক্ত চৈতন্যের অন্বেষণ,
যেখানে শব্দের অলংকারে ভাবের সূক্ষ্মতা বিলীন হয়ে যায় ভাবনার অতলান্ত গহ্বরে।
এ কেবল বর্ণনার কলা নয়—
এ এক চেতনার ধ্রুপদী আলয়,
যেখানে প্রতিটি অক্ষর এক একটি নীরব আর্তির প্রতীক,
আর প্রতিটি বাক্য অন্তর্জগতের অনির্বচনীয় প্রতিফলন।
সাহিত্য এক প্রজ্ঞাবান পরিসর,
সাহিত্য এক শাশ্বত চেতনাজাগ্রত অনুষঙ্গ,
যেখানে মননের পরিসরে মিশে যায় শ্রেণীচ্যুত সংবেদন।
মিশে যায়, বর্ণবিভাজিত সংস্কারের অবসান ঘটিয়ে,

এখানে ভাবনার প্রবাহ ছেদহীন, মুক্ত সংবেদনশীল ;
এখানে গড়ে ওঠে অন্তর্জাগতিক সমতার নৈর্ব্যক্তিক প্রাঙ্গণ।
অক্ষরের অন্তঃসারশূন্য রূপ নয়,
বরং তার প্রতিটি বিন্যাসে সংরক্ষিত থাকে মানবিক সংশ্লেষের নিগূঢ় দ্যোতনা।

ধর্ম, জাতিসত্তা, লিঙ্গ বা ভাষার গঠনমূলক ভেদরেখা, সাহিত্যের তুলনালগ্ন আলোচনায় বিলুপ্ত হয়।
ভাবনাজাত রসায়নে সাহিত্য রূপ নেয় এক অপরিমেয় মুক্তিকামনায়,
প্রত্যেকটি শব্দ হয়ে ওঠে একেকটি মুক্তিচেতনার বিমূর্ত বর্ণমালা
যেখানে প্রতিটি বাক্য একেকটি মানবধর্মের সিংহদ্বার।

সাহিত্যের অস্তিত্ব নির্ভর করে অন্তর্দৃষ্টিসম্পন্ন মেধার উপরে,
যা নিরপেক্ষতা ও ন্যায়সংগত মূল্যবোধে নির্মিত।
সাহিত্যে নেই কোনো বিভাজনের হন্তারক ব্যাকরণ;
আছে শুধু সহমর্মিতার গভীর ব্যঞ্জনা ও চিন্তাশীলতার অপার সম্ভাবনা।
এ এক অনুপম অনুশীলন!
এক চেতনাপুঞ্জের অন্তর্লীন প্রক্ষেপ,
যার অভিজ্ঞান শুধু সমতার নির্ভার ঐশ্বর্যে প্রকাশিত।

=========