ক্ষমতার পিশাচেরা রাষ্ট্রের রক্তাক্ত শবের ওপর রচনা করে নৃশংস ভোজ!
লালসার বিষাক্ত থুতনে তামসিক উচ্ছিষ্টের স্তূপ জমে।
বিপ্লবের শিখা তারা নিঃশেষ করে চাতুর্যের শীতল ছাইয়ে!
প্রতিশ্রুতির আবরণে ঢেকে রাখে শোষণের নিঃসঙ্গ মহাফেজখানা।
গণমানুষের ক্ষুধার্ত আর্তনাদ তাদের কর্ণগহ্বরে প্রতিধ্বনিত হয় না,
কারণ তাদের স্লোগান মানেই বিশ্বাসঘাতকতার সূক্ষ্ম জাল।

প্রতারণার নিপুণ কারিগররা উন্নয়নের রূপকথা বোনে,
অথচ বাস্তবতা সেখানে শোষণের দগদগে ক্ষতচিহ্ন।
দেশপ্রেমের মুখোশে তারা মিথ্যার মুখরোচক মেলা বসায়,
যেখানে আদর্শ এক হিসাবনিকাশের মুদ্রা মাত্র।
জাতীয় পতাকার ভার তাদের পিষে ফেলে না,
বরং তাদের নির্লজ্জ পায়ের তলায় শোষণের মুদ্রাদণ্ডে মাটির স্পর্শটুকুও নষ্ট হয়।

নেতৃত্বের নামে জনতার অনুভূতিকে নির্মমভাবে জ্বালিয়ে দেয় যারা,
ইতিহাস তাদের চিহ্নিত করে বিশ্বাসঘাতকতার কালো চিহ্নে।
ছাত্রসংগ্রামের নামে সুবিধাবাদের উন্মত্ত নৃত্য চলে,
শক্তির দরবারে আদর্শের ধ্বংসস্তূপ নিয়ে চলে নির্লজ্জ দরকষাকষি।
একাত্তরের রক্তাক্ত ত্যাগ কি তাদের বংশপরম্পরায় বিক্রয়যোগ্য সম্পদ, যে তারা দালালির বাজারে প্রতিদিন তার দর হাঁকে?

নিরপেক্ষতার প্রহসন আসলে দেশদ্রোহের কুশলী অভিনয়,
যেখানে স্বপ্ন নিভে যায় ষড়যন্ত্রের ঘন কুয়াশায়।
রক্তচক্ষুর অন্ধকূপে বন্দী মুক্তির সূর্য,
যেখানে সত্যের প্রভাত মানেই প্রতারণার কৃত্রিম আলো!

ছাত্রনেতার মুখোশ পরা লোভী চাটুকার,
যাদের নেতাগিরি মানে জনতার আবেগ নিয়ে রমণ! দেশপ্রেম তাদের ঠোঁটের বুলি, আসলে তারা মাতৃভূমির দালাল।
একাত্তরের আদর্শ কি এদের বাপের সম্পত্তি, যা সুবিধামতো বিক্রি করে?
নিরপেক্ষতার নাটক হয়তো দেশের বারোটা বাজায় না, কিন্তু দেশদ্রোহীদের রক্তচক্ষুতে কখনো ফজরের আলো ফোটে না!

========