সময়ের অনলস্পর্শী শিলালিপিতে গেঁথে থাকে অনুচ্চারিত আর্তনাদের ক্ষতচিহ্ন।
আবেগের অন্তঃস্থ অলিন্দ থেকে নিঃসৃত নিস্তব্ধ ঘূর্ণি,
যে ঘূর্ণির শিরায় শিরায় প্রবাহিত হয় নিঃশব্দ বজ্রের বিভীষিকা।
হৃদয়ের অন্তঃপুরে ছড়িয়ে পড়ে শব্দহীন দ্রোহের অনলশিখা,
যার প্রতিটি স্পন্দনে উচ্চারিত হয় অন্তর্লীন বিপ্লবের অগ্নিসংগীত।
ভালোবাসা এক দুর্বোধ্য মহাকাব্যিক সমীকরণ,
যেখানে প্রত্যাশার রেখাচিত্র বেদনার অনলধারায় জ্বলে নিঃশেষ হয়।
আকাঙ্ক্ষার অগ্নিস্ফুলিঙ্গ কখনও ছুঁয়ে যায় অস্তিত্বের অন্তঃশূন্য ঘূর্ণিপথ,
কখনও বা ভেঙে ফেলে আত্মার প্রাচীন প্রাচীর,
নির্মাণ করে ব্যর্থতার অনতিব্যক্ত মিনার।
বিরহ সেখানে এক বিষণ্ণ শূন্যতার অতলস্পর্শী আবর্ত,
যেখানে প্রতিধ্বনি ফিরে আসে আত্মার অন্তর্গত গহন থেকে।
আলো আর অন্ধকারের মহারণ্যে অনিবার্যভাবে জন্ম নেয় এক অনিঃশেষ অগ্নিরথ,
যা নিয়তি ও নৈঃশব্দ্যের সীমান্তে ছুটে চলে।
জীবন এক অনবরত প্রলয়যাত্রা,
যেখানে সুখ ও দুঃখের দানবীয় দ্বন্দ্বে রচিত হয় অস্তিত্বের রক্তাক্ত মহাকাব্য।
স্মৃতির জ্বলন্ত কণাগুলো সময়ের দেহে ক্ষতের নিরবধি শৃঙ্খল এঁকে দিয়ে—
অনুভূতির অনন্তচক্রে আবদ্ধ করে রাখে সমস্ত অস্তিত্বকে।
এভাবেই জীবন রূপ নেয় এক দহনময় নিঃসঙ্গ অভিযাত্রায়,
যা নীরবতার আবরণ ছিন্ন করে,
আশার নীলকণ্ঠকে ভস্মীভূত করে সৃষ্টি করে এক নবীন, দগ্ধ সত্তা।
শব্দের অগ্নিপথ বেয়ে নিরন্তর জন্ম নেয় এক অনির্বাণ আত্মারথ, যেখান থেকে আর ফিরে আসা হয় না,
শুধু ছুটে চলা অনন্ত বিপর্যয়ের অনিমেষ আলোয়।
=========