জীবন এক মঞ্চ, যেন প্রতিদিনের তামাসায় ভরা।
লাভ-লোকসানের টানাপোড়েনে বুঁদ—
মানুষ ভুলে যায় ঋণদাতা প্রভুকে,
ভুলে যায় ভালোবাসার ভাষা।
খল চেনে না হৃদয়ের স্পর্শ,
সে কেবল হিসেব করে নিজের লাভের খাতা।

ঘূর্ণিঝড়ের মতো আসে দিশাহীন সময়!
যেখানে আপন-পর সব হয়ে যায় একাকার।
সম্পর্ক, আশা, স্বপ্ন—সব ছিন্নভিন্ন।
তবু মানুষ টেনে আনে ব্যবহারিক সূত্র,
অন্ধ বিশ্বাসে জপে চলে মন্ত্র।
ধর্মের বাণী, বেড়া ছাড়া শোনা সেই শিক্ষা,
যা নাকি নিয়ে আসে মঙ্গল।

তবু সেই ধর্মও হয় দূষিত।
প্রাণের মতো সে জল, যা বিপদে পরিণত হয় বিষে!
সাম্যবাদের সুর হয়ে ওঠে হলাহল,
যেখানে পাপ-পুণ্যের দোলাচলে মানুষ হারায় দিশা।
জন্মদাতা'র সেই ধর্ম—
যা চেনে কেবল শাস্তি আর পুরস্কার,
চেনে স্বর্গ আর নরকের বিভাজন।

তবু এক স্বপ্ন রয়ে যায়—
ঝঞ্ঝাটমুক্ত, কপটতাহীন এক জীবনের।
যেখানে মানুষ হবে সত্যিকারের মানুষ,
ভালোবাসা আর সমতা দিয়ে গড়ে তুলবে এক আবাদ।
কিন্তু আজ, সেই স্বপ্ন যেন দূর আকাশে!
সাম্যবাদে ঠেলে দেওয়া হয় অন্ধকারে।

=========