আমার ভেতর এক নির্জন দ্বীপ,
যেখানে বিশ্বাস আর যুক্তি মুখোমুখি দাঁড়িয়ে—
একজন পাথরের মতো স্থির,
আরেকজন নদীর মতো অস্থির।

বিশ্বাস বলে, "আমি আছি, কারণ হৃদয় বলে আছি।"
যুক্তি হেসে উঠে, "হৃদয় কি সত্যের মানদণ্ড?"
বিশ্বাস চুপ করে থাকে,
কেননা তার অস্তিত্বের প্রয়োজন নেই কোনো প্রমাণের।

যুক্তি ছুরি হাতে দাঁড়ায়—
প্রতিটি অনুভূতিকে কেটে কেটে দেখে,
তন্নতন্ন করে খোঁজে দৃশ্যমান শিকড়,
অথচ বিশ্বাস অন্ধকারে বুনে চলে অদৃশ্য ফসল।

আকাশের তাঁরা কি যুক্তির আলোয় জ্বলে?
নাকি বিশ্বাসের নীরবতাতেই তারা জেগে থাকে?
একটি প্রশ্ন, দুটি উত্তর—
তবুও তারা পাশাপাশি হাঁটে এই অন্তর্গত রাস্তায়।

বিশ্বাস জানে, তার শেকড় দেখা যায় না,
কারণ যে দৃশ্যমান, সেখানে বিশ্বাসের আবাস নেই।
যুক্তি জানে, যা দেখা যায়, সেটিই সত্য নয়,
কারণ চোখও অনেক সময় ধোঁকা খায়।

এ দ্বন্দ্ব অন্তহীন,
তবু মানুষ বুক পকেটে বিশ্বাস লুকিয়ে রাখে,
আর মস্তিষ্কে জ্বালায় যুক্তির প্রদীপ।
কারণ তারা জানে—
অন্ধকার দূর করতে আলো লাগে,
কিন্তু পথ চলতে লাগে সাহস।

বিশ্বাস আর যুক্তি,
একটি ছায়া, আরেকটি রোদ্দুর!
একসঙ্গে তারা বুনে চলে মানুষের মন,
কখনো সংঘাতে, কখনো সহমতে।

=======