ধর্ষণ শুধু শরীরের ক্ষত নয়,
এ এক অন্তহীন ক্ষয়—সমাজের শিরায় শিরায় পুঁজ জমে থাকা গ্লানির রূঢ় প্রকাশ।
এখানে ন্যায় অন্যায়ের সীমারেখা ভেঙে যায়,
মানবতার শিকড় থেকে রক্ত ঝরে অবিরাম।

রাত্রির নির্জনতায় পশুত্বের নখ আঁচড়ে দেয় সভ্যতার মুখ—
একটি শরীর ছিন্নভিন্ন হয়,
কিন্তু তার চেয়েও ভয়ংকর—
একটি আত্মা বুকে আগুন নিয়ে পুড়ে ছাই হয় নিভৃতে।

সমাজ তখন নির্বাক—
বিবেকহীন প্রতিচ্ছবির মতো দাঁড়িয়ে দেখে নীরব নরকযন্ত্রণা।
বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়ায় শিকার,
আর হিংস্রতার মুখোশ পরে অপরাধী হাঁটে বুক ফুলিয়ে।

এই পচন শুধু একটি রাতের নয়—
এটি সময়ের শিকলবন্দী হতাশা!
যেখানে প্রতিটি নীরবতা একটি নতুন ক্ষত তৈরি করে,
প্রতিটি নিঃশ্বাস যেন আরও একটি প্রার্থনার অপমৃত্যু।

ধর্ষণ কেবল একটি দেহের ক্ষতচিহ্ন নয়—
এ এক সমাজ আত্মার ক্ষয়িষ্ণু ক্যানভাস!
যেখানে রং ফুরিয়ে গেছে,
আর অবশিষ্ট আছে শুধু, কালো ছায়ার মতো থমকে থাকা পচন।

========